চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মূলত, স্থানীয় ভোগ–চাহিদা কমে যাওয়া, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হ্রাস এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি—এসব কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আজ বুধবার প্রকাশিত এডিবির ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সেপ্টেম্বর সংস্করণে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। এডিবি বলছে, এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। এডিবি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, দুই মাসে ধরেই বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি।
এডিমন গিন্টিং জানান, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় এবং জ্বালানি–সংকটের কারণে এ বছর কাঙ্ক্ষিত হারে বিনিয়োগ হবে না। ধীরগতি দেখা দেবে সরকারি বিনিয়োগেও। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ৬ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ‘ভালো’ মনে করেন তিনি।
এডিমন গিন্টিং আরও বলেন, ‘রপ্তানি আয়ে বৈচিত্র্য আসছে। কৃষি ও ওষুধ খাতে বছরে ১০০ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি হচ্ছে। প্রবাসী আয়ও বাড়ছে। আমি মনে করি, রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্যই অর্থনীতিকে টেকসই করে। যেহেতু প্রবৃদ্ধি দেশের ভেতর থেকেই হতে হবে, তাই বেসরকারি খাতের বিকাশ প্রয়োজন।’