বগুড়া বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মিলটন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজার রহমান বলেন, বগুড়ায় তৈরি সেচের পাম্প ভারতে রপ্তানি শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। এই পাম্প রপ্তানির মধ্য দিয়ে বিদেশের বাজারে প্রবেশ করে বগুড়ার কৃষি প্রকৌশল পণ্য। এরপর ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানেও এ পাম্প এবং টিউবওয়েল রপ্তানি শুরু হয় । তবে কয়েক বছরের মাথায় পাম্প ও টিউবওয়েল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর ২০১২ সালে আবার ভারতে পাম্প রপ্তানি শুরু হয়।
বগুড়ার এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, বর্তমানে ভারতের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বছরে প্রায় ৫০ হাজার সেচপাম্প রপ্তানি হচ্ছে।
আজিজার রহমান বলেন, কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট তুলে দেওয়া ছাড়াও এ খাতের রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকারের সুনজর দরকার। এ ছাড়া ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সেখানে জেনারেল সেলস ট্যাক্স (জিএসটি) দিতে হয়। এই ট্যাক্সের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা আরও কম দামে পাম্প কিনতে চান। তাই এ খাতে প্রণোদনা দরকার।