বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) রাজধানীর চারটি জায়গায় খোলা বাজারে লবণ বিক্রি শুরু করেছে। উত্তরা বিজিবি মার্কেট, ধানমন্ডি ৯/এ, মিরপুর-১ এবং লালবাগ শ্যামা সল্ট মিল প্রাঙ্গণে এ লবণ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি সরু দানার লবণ ৩০ টাকা এবং মোটা লবণ ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায়।
এদিকে দেশে বর্তমানে ৬ মাসের চাহিদার পরিমাণ লবণ মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, গত মৌসুমে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। লবণ মিল ও চাষি পর্যায়ে ৬ লাখ ১১ হাজার টন লবণ মজুদ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সামিটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এর মধ্যে বর্তমানে ২২২টি মিল চালু রয়েছে। চালু মিলগুলোর সর্বমোট দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, ভোজ্য লবণের দৈনিক জাতীয় চাহিদা ২ হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন। ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কম থাকায় মিলগুলো উৎপাদন কমিয়ে দৈনিক ৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করছে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, গতকাল (১৯ নভেম্বর) মিলগুলো থেকে বাজারে মোট ৩ হাজার ২০০ মেট্রিকটন লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন মৌসুমে উৎপাদিত লবণও ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত মজুতের ফলে শুধু ছয় মাস নয়, আগামী একবছরেও লবণের কোনো ঘাটতি হবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।