করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে সীমিত আকারের ব্যাংক সেবা চালু থাকবে। তবে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন, তাঁরা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা পাবেন। যাঁরা বাসায় বসে অফিস করছেন, তাঁরা এই ভাতা পাবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে ভাতা দেওয়ার ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ ছুটির ঘোষণা হওয়ার পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সশরীর ১০ দিন অফিস করছেন, তাঁরা পুরো মাসের বেতনের সমপরিমাণ ভাতা হিসেবে পাবেন। এর কম হলে আনুপাতিক হারে পাবেন। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ও মূল বেতন নির্ধারিত নয়, তাঁরা পুরো বেতন–ভাতার ৬৫ শতাংশ প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। তবে এই ভাতার পরিমাণ প্রতি মাসে কোনোভাবেই ৩০ হাজার টাকার কম হবে না, আবার এক লাখ টাকার বেশি হবে না। যত দিন সাধারণ ছুটি থাকবে, কর্মীরা তত দিন এই প্রণোদনা ভাতা পাবেন। স্থায়ী, অস্থায়ী সব ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ভাতার আওতায় পড়বেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যাঁরা তাঁদের জীবন ও পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখেও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার পর সীমিত আকারে ব্যাংক সেবা চালু রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সরকারি ও বেসরকারি কিছু ব্যাংক সব শাখা খোলা রেখেছে। এখন লকডাউন বা অবরুদ্ধ এলাকাতেও ব্যাংক শাখা খোলা থাকছে।
এর মধ্যে ব্যাংকগুলোতে লেগে থাকছে উপচে পড়া ভিড়। বেতন–ভাতা–অনুদানের টাকা উত্তোলনের জন্য সরকারি ব্যাংক ও টাকা তোলার জন্য বেসরকারি ব্যাংকে বেশি ভিড় হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত ব্যাংক কর্মকর্তারা। অনেক ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও যাতায়াতব্যবস্থা করেনি, আবার ঝুঁকি ভাতাও দিচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে সেবা অব্যাহত রাখায় আলাদা স্বীকৃতিও চান কোনো কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা। আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিল।