রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম উঠেছে ১৬০ টাকা। বিক্রেতা মো. সাইদুল জানালেন, এক সপ্তাহ আগেও এই কাঁচা মরিচ ছিল ৬০ টাকা। হঠাৎ লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে যায়।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের এখন আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচে ১৫ টাকার বদলে ৪০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কিছুদিন আগেও যে সবজি ৩০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা কিনতে ৫০ টাকা লাগছে।
এদিকে কারওয়ান বাজারে রসুনের দাম আরও বেড়েছে। বাড়তির দিকে দারুচিনি ও এলাচির দামও। আদা ও ডিম আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কেজিতে ৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। সব মিলিয়ে সংসারে খরচের চাপ বেড়েছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ছাড়াও পশ্চিম আগারগাঁও, কাজীপাড়া, পশ্চিম রাজাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরেও সবজির মূল্যবৃদ্ধির চিত্র দেখা যায়। পশ্চিম আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন তাঁর দোকানে দুটি সবজি দেখান, যার কেজি ৫০ টাকার নিচে; কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা ও কুমড়া ৩০ টাকা। তিনি বলেন, বেশির ভাগ সবজি এখন ৬০ টাকা কেজি। বেশি দামের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ১২০।
>কাঁচা মরিচ কেজি ১৬০ টাকা
শসা কেজি ১০০ টাকা
ডিম ডজন ১১৫ টাকা
খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দাম বাড়ছে
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সাইদুলের দোকানে এক কেজি দেশি শসা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে দাম এখন দ্বিগুণ। হঠাৎ সবজির বাজার এত চড়া কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
কৃষি মার্কেটে পদ্মা ব্রয়লার হাউসে এক ডজন (১২টি) ফার্মের মুরগির ডিম ১১৫ টাকা, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। একই বাজারে চীনা রসুন ১৬০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, চীনা আদা ১৪০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ১৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও ভারতীয় বড় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
কোনো কিছুর দাম কমা-বাড়ার প্রথম প্রভাব পড়ে কারওয়ান বাজারে। সেখানে কয়েকটি দোকানে চীনা রসুন ১৭০-১৮০ টাকা দাম চাইতে দেখা যায়, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা বেশি। জানতে চাইলে রসুন আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, তিন-চার দিন আগে পাইকারি বাজারে রসুনের দর কেজিপ্রতি ১৫৫ টাকায় উঠেছিল। গতকাল তা ১৪৭ টাকায় নেমেছে।