সয়াবিন তেলের দাম আবার বাড়ল। এ দফায় দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটি আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকায় বিক্রি হবে, যা এত দিন ১৪৪ টাকা ছিল। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল পাওয়া যাবে ৭২৮ টাকায়।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১২৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এ দফায় পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি এক টাকা কমানো হয়েছে।
ভোজ্যতেল বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি টি কে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস) মো. শফিউল আথহার তাসলিম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক রকমের বেশি। আমদানি মূল্য ধরে দাম লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। তবে মন্ত্রণালয় ৯ টাকা বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন দেয়। এ দরে আগামী শনিবার থেকে তেল বিক্রি হবে।
দেশের বাজারে গত অক্টোবরেও প্রতি পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৫০৫ টাকা। এরপর থেকে তা বাড়ছেই। নতুন দাম কার্যকর হলে গত অক্টোবরের তুলনায় পাঁচ লিটার তেল কিনতে মানুষের ব্যয় বাড়বে ২২৩ টাকা।
ভোজ্যতেলের দাম কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল। তবে সরকার অগ্রিম মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আদায় থেকে অব্যাহতি দেয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে দামে প্রভাব পড়ার সুযোগ কম। পার্থক্য এটুকুই যে এখন ভ্যাট পরে দিতে হচ্ছে, আগে অগ্রিম নেওয়া হতো। কোম্পানিগুলো ভ্যাট ছাড়ের দাবি করে বলছে, এখন এক লিটার তেলে ভ্যাট ২০ টাকার মতো। পাঁচ লিটারে তা ১০০ টাকা দাঁড়ায়। বিশ্ববাজারে দাম যত বাড়ে, সরকারের করের পরিমাণও বাড়ে।
দাম কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার উপায় কী জানতে চাইলে শফিউল আথহার তাসলিম বলেন, বিশ্ববাজারে এক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ৪৬০ ডলার ছাড়িয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১০০ ডলার ধরে। নতুন দামের তেল বাজারে এলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন ভ্যাট ছাড় দিলেই কেবল দাম কমতে পারে।