সারা দেশে বেশ কিছু মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর বাইরে চলছে ঢাকার মেট্রোরেল ও উড়ালসড়ক প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে রেলের বরাদ্দও। তবে সেতু বিভাগের জন্য নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ কিছুটা কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সেতু বিভাগের অধীনে পদ্মা সেতু ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। ফলে এই প্রকল্পগুলোতে খরচ কমে আসছে। এই বিভাগের অধীনে নতুন বড় কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে সেতু বিভাগে খরচ কিছুটা কমবে। এ জন্যই প্রস্তাবিত বাজেটে সেতু বিভাগের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব এসেছে বলে মনে করছেন এই বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ৩১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট উন্নয়ন বরাদ্দের ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে দেশের সব মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তারা দেড় কিলোমিটারের কম সব সেতুও নির্মাণ করে থাকে। এর বাইরে রাজধানীর গণপরিবহন উন্নয়নে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলো তাদের অধীনে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য এবারের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, যা মোট উন্নয়ন বাজেটের ৬ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজও চলমান। আছে যমুনা নদীতে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের কাজ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকার বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল ও ঢাকা বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর অদূরে কুতুবখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক অচিরেই চালু হবে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সড়ক ও রেলে বরাদ্দ বাড়ছে, কমছে সেতুতে
এত চাপ কীভাবে সামলাবেন অর্থমন্ত্রী