স্বর্ণমান থেকে যেভাবে বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু

বিনিময় হার ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে
বিনিময় হার ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে

গত এক বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১ টাকা। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা। আর চলতি ফেব্রুয়ারিতে এই দাম ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা বিনিময় হারের তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে।

আসলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন নেতিবাচক না ইতিবাচক, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে দ্বিমত আছে। বিষয়টি দেশ অনুযায়ী আপেক্ষিকও। এককথায় এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়। আধুনিক মুদ্রানীতি অনুযায়ী ‘অবমূল্যায়ন’ অর্থ একটি সুনির্দিষ্ট বিনিময় হার পদ্ধতিতে দেশের মুদ্রার মূল্য অন্য দেশের মুদ্রার বিপরীতে আনুপাতিক হারে কমানো। তবে সময় ও আর্থিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অবমূল্যায়নের ধরন ও প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে। এই পাল্টে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে গেলে পুরোনো দিনে ফিরে যেতেই হয়। আর্থিক ব্যবস্থার ইতিহাস নিয়ে ঘাটতে হয়। 

মুদ্রা প্রচলনের আগে লেনদেনের প্রয়োজনে কেবল ছিল বিনিময় ব্যবস্থা। একে অপরের মধ্যে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এখনকার অর্থের কাজ মেটানো হতো। কালক্রমে প্রয়োজন হলো একটি মুদ্রা ব্যবস্থার। প্রথমে ধাতব পণ্যে যেমন তামা লোহা রুপা মুদ্রা হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ বা পঞ্চম অব্দে তুরস্কের এশিয়া মহাদেশীয় অংশের লিডিয় জাতি সর্বপ্রথম মুদ্রা তৈরি করে। লিডিয়দের মুদ্রা তৈরির প্রায় কাছাকাছি সময়ে প্রাচীন ভারতে মুদ্রা তৈরি এবং প্রচলন হয়। ধারণা করা হয় এখানে মুদ্রার প্রচলন হয় প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে। অবশ্য আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে সুমেরিয়রা বার্লি বিক্রির জন্য প্রথম ধাতব মুদ্রা ব্যবহার করে। যাই হোক ধাতব মুদ্রার পরে আসে কাগুজে মুদ্রা। কাগুজে মুদ্রার বা নোটের প্রচলন শুরু হয় চীনে, ট্যাঙের রাজত্বকালে (৬১৮-৯০৭ সাল)। এর পর ধীরে ধীরে প্রচলন শুরু হয় কাগুজে নোটের। ১৬৯০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বে কলোনিতে সর্বপ্রথম কাগজের নোটের প্রস্তাবনা করা হয়। ১৭৬০ সালে প্রথম ডলার ছাপানো হয় এবং তা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়।

আজকের যে অর্থ ব্যবস্থা তাতে স্বর্ণ রুপার ভূমিকা সরাসরি তেমন নেই। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক পর্যন্ত মুদ্রা ব্যবস্থায় কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের একটা সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করা হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর আস্থা ছিল স্বর্ণের ওপর। মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা মান নির্ণয় স্বর্ণ হয়ে ওঠে নির্ভরশীল। আজ সেই গল্পই বলব। 

গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড
১৮৮০ সাল থেকে ১৯১৪ সাল হলো গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডের স্বর্ণযুগ। এ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলো তাদের মুদ্রার মান নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ হিসেবে প্রকাশ করে। স্বর্ণমান ব্যবস্থাটি হলো অনেকটা এমন—এখনকার টাকায় লেখা থাকে, চাহিবামাত্র এর বাহককে অত টাকা দিতে বাধ্য থাকিব। মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভিত্তি হলো স্বর্ণমান। বলা যায় ৫০০ টাকার নোটে অঙ্গীকার থাকত চাহিবামাত্র এর বাহককে ২৯ গ্রাম স্বর্ণ দিতে বাধ্য থাকিব। এই ধরনের কিছু। এই ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ব্যবস্থায় চাইলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ছাপাতে পারত না। যে সব দেশ গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল তারা তাদের দেশীয় মুদ্রার মূল্য কী পরিমাণ স্বর্ণের সমান হবে তা আইন করে বেধে দিয়েছিল। যেমন: এক পাউন্ড, এক ডলার, এক জার্মান মার্কের বিনিময়ে কতটুকু স্বর্ণ আদান প্রদান করা যাবে তা সে সব দেশের আইনে নির্ধারণ করে দেওয়া হতো। এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মানের বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেটের ওঠা নামার খুব একটা বেশি সুযোগ ছিল না। খাঁটি গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড আমলে কাগুজে মুদ্রার বিপরীতে শতকরা ১০০ ভাগ স্বর্ণ রিজার্ভ রাখার বিধান রাখা হয়। মুদ্রা ব্যবস্থায় এর পরের ধাপ হিসেবে বলা হয় গোল্ড বুলিয়ান স্ট্যান্ডার্ডকে। 

গোল্ড বুলিয়ান স্ট্যান্ডার্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থার অবসান হয়। বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। গ্রেট ব্রিটেন অবশ্য যুদ্ধ পূর্ব স্বর্ণমান অবস্থায় ফিরতে চায়। আর তাদের প্রচেষ্টাতেই ১৯২৫ সালে গোল্ড বুলিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থার চালু হয়। এ ব্যবস্থায় চালু নোটের বিপরীতে পুরোপুরি স্বর্ণের রিজার্ভ রাখার বিধান উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে নোট ইস্যু করার ব্যাপারে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বেশি স্বাধীনতা লাভ করে। অবশ্য এ ব্যবস্থা বেশি দিন টেকেনি। ১৯৩১ সালে এ ব্যবস্থা থেকে সরে আসে ইংল্যান্ড। 

গোল্ড এক্সচেঞ্জ স্ট্যান্ডার্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মুদ্রার চাহিদা বেড়ে যায়, তবে সমস্যা হলো স্বর্ণের মজুত তো আর বাড়েনি। এখন যখন নোট ইস্যু করার দরকার পড়ল, গোল্ডের মজুত থাকতেই হবে। এ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ আইন পরিবর্তন করে। তারা স্বর্ণের পাশাপাশি স্বর্ণ রূপান্তরযোগ্য অন্যান্য দেশের মুদ্রাও রিজার্ভ আকারে রাখার অনুমোদন দেয়। এ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যু করা নোটের মূল্য স্বর্ণে পরিশোধ করা বা স্বর্ণমুদ্রা ও স্বর্ণ জনসাধারণের কাছে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। তবে এ সব নোটের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোল্ড এক্সচেঞ্জ বা বিল অব এক্সচেঞ্জ, ড্রাফট অথবা চেক ইস্যু করার দায়িত্ব গ্রহণ করত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো সমঝোতা ছাড়া এই ব্যবস্থা চলতে থাকে। সমস্যাটার শুরু হয় তখন যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে অনেক দেশ পর্যাপ্ত স্বর্ণ জমা না রেখেই নোট ছাপাতে শুরু করে। ১৯২৮ সালের দিকে ২৫টি দেশ তাদের নোটের বিপরীতে রিজার্ভের মাত্র ৪২ শতাংশ তথাকথিত গোল্ড এক্সচেঞ্জ বিশেষ করে পাউন্ডে রেখেছিল। তবে সে সময় বিশ্বব্যাপী মহামন্দা শুরু হলে গ্রেট ব্রিটেনেও তার তাপ লাগে। ব্রিটেন পাউন্ড স্টার্লিংয়ের বিপরীতে স্বর্ণ পরিশোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমন অবস্থায় ইউরোপের দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তারা তাদের জমা রাখা পাউন্ড স্টার্লিং স্বর্ণে পরিবর্তন করে নিতে আগ্রহী হয়। তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছে পাউন্ডের বিপরীতে স্বর্ণ দাবি করে। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পক্ষে সম্ভব ছিল না এই দাবি মেটানো। এ সব জটিলতায় ১৯৩১ সালে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরিত্যাগ করে গ্রেট ব্রিটেন। ১৯৩৩ সালের দিকে মাত্র পাঁচটি দেশ ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম ও ইতালি এই ব্যবস্থা বহাল রাখে। তবে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। ১৯৩৬ সালে মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে এই ব্যবস্থার লোপ পায়। তবে এটি ১৯৮৮ সালে একটি অন্য আকারে ফিরে আসে ঐতিহাসিক ব্রেটোন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে। 

অষ্টাদশ শতকে স্বর্ণ মানের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাক কিনলে

ব্রেটোন উডস ব্যবস্থা
১৯৪৪ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্যের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটোন উডস শহরে বসে এক অর্থনৈতিক সম্মেলন। এতে যোগ দেন যুদ্ধরত মিত্রশক্তির ৪৪টি দেশের প্রতিনিধি। ব্রেটোন উডস ব্যবস্থার মূল লক্ষ ছিল স্থিতিশীল বিনিময় হার ব্যবস্থার প্রবর্তন, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অবসান, সকল দেশের মুদ্রার রুপান্তরযোগ্যতার পুনঃপ্রবর্তন এবং দেশে দেশে মুদ্রা অবমূল্যায়নের প্রতিযোগিতার অবসান। ব্রেটোন উডস ব্যবস্থায় অবমূল্যায়নের তেমন অবকাশ ছিল না। সমস্যা সমাধানের জন্য সদস্য দেশ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে। তবে আর্থিক ও রাজস্ব নীতি সংস্কার করে তারা অর্থনীতি এমনভাবে পরিচালনা করবে যাতে সমস্যার মূল কারণগুলো দূর হয়ে ব্যালান্স অব পেমেন্টস পুনরায় অনুকূলে চলে আসে। ব্রেটোন উডস ব্যবস্থা তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিষ্ঠা করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ফরেন এক্সচেঞ্জ এবং মুদ্রাবাজারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বলা যায়। বিশ্বযুদ্ধ গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড, রকমারি মুদ্রার ইতি টানে। যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক লেনদেন আইএমএফ প্রবর্তিত পার ভ্যালু ব্যবস্থা দিয়ে শুরু হয়। আর সত্তরের দশকের শুরুতে শুরু হয় ফ্লোটিং রেটের যুগ। আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটের প্রসার ঘটেছে। স্বর্ণমান এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বের মুদ্রা বাজারে এখন প্রতিনিয়তই বিনিময় হারের পরিবর্তন হচ্ছে। কখনো অর্থনৈতিক অস্থিরতা, কখনো ভূ রাজনৈতিক কারণে পরিবর্তন আসে বিনিময় হারে।

পটভূমি বাংলাদেশ
বিনিময় হার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা যে খুব অসাধারণ কিছু নয় তা এখন বলা যায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার সঙ্গে দিন দিনই মান হারিয়েছে টাকা। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকা মান হারিয়েছে ৮৭ শতাংশ, পাউন্ডের বিপরীতে ৮০ শতাংশ, জার্মান মার্কের সঙ্গে ৯৫ শতাংশ, জাপানি ইয়েনের সঙ্গে ৯৩ শতাংশ। ১৯৭২ সালে ১ ডলার সমান ৭ টাকা ৮৭ পয়সা ছিল। ২০০৪ সালে যা দাঁড়ায় ৫৯ টাকা ৬৯ পয়সা।

আসলে বলা যায়, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিনিময় ব্যবস্থাপনাসহ সামগ্রিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। প্রথমত ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর মোটামুটি শূন্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ভান্ডার নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকটের আঁচ গিয়ে পড়ে মুদ্রা ব্যবস্থায়। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায়। শিল্প ও কৃষি দই উৎপাদনই কমে। সেই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বন্যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সংকটময় মুহূর্ত তৈরি করে। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের অর্জিত অর্থে সরাসরি আমদানি সুবিধা প্রদানের জন্য ওয়েজ আর্নার্স স্কিম ব্যবস্থা চালু করা হয়। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ টাকার বেসরকারি হার দাঁড়ায় প্রতি পাউন্ড প্রায় ৬০ টাকা। ওই বছরের ১৫ মে বাংলাদেশ টাকা প্রথমবারের মতো প্রায় ৫৮ শতাংশ অবমূল্যায়ন করে নতুন বিনিময় হার করা হয় প্রতি পাউন্ড ৩০ টাকা। পরবর্তীতে অবশ্য বড় মাপের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাত্রায় অবমূল্যায়নের পথ বেছে নেওয়া হয়। অসংখ্যবার অবমূল্যায়নের ফলে ২০০৫ সাল নাগাদ মার্কিন ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার দাঁড়ায় ৬০ টাকা। বাংলাদেশে ডলার ও টাকার বিনিময় হার স্বাধীনতার পর থেকে সরকার নির্ধারণ করে দিত। ০০৩ সালে এই বিনিময় হারকে করা হয় ফ্লোটিং বা ভাসমান। এরপর থেকে আর ঘোষণা দিয়ে টাকার অবমূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। তবে বিনিময় হার ভাসমান হলেও পুরোপুরি তা বাজারভিত্তিক থাকেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই এতে পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ রেখে আসছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে অনুসরণ করে আসছে ‘ম্যানেজড ফ্লোটিং রেট’ নীতি। ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১ মার্কিন ডলারের (ইউএসডি) বিপরীতে টাকার দর ৮৪ দশমিক ৯৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।