গত দুই বছরে বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে। এখন সারা পৃথিবীতে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ সরবরাহ ব্যবস্থায় এই ব্যাঘাত। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বৈশ্বিক পণ্য পরিবহন কোম্পানি মার্সক বলছে, এখনই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
মার্সকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোরেন স্কুয়ো সিএনএনকে বলেছেন, ‘এখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, এমন কথা বলার সময় আসেনি। অন্য সবার মতো আমিও আশা করেছিলাম, পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিন্তু ঘটনা প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে না, এখনই তেমন সম্ভাবনা আছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড হারে শ্রমিকদের চাকরি ছাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বন্দরে এখন শ্রমিক খুঁজে পাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। এতে পণ্য ওঠানো-নামানো থেকে শুরু করে অন্য দেশে পাঠানো, সবকিছুতেই বিলম্ব হচ্ছে।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতি নির্ভর করছে কোভিড সংক্রমণের ওপর। সোরেন স্কুয়ো আশা করছেন, দেশে দেশে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ আবার উঠতে শুরু করেছে। আর করোনার অমিক্রন ধরনে মানুষের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কম থাকায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তখন এসব ব্যবহারিক জটিলতার অবসান হবে আর পণ্য পরিবহনে গতি আসবে।
মার্সক আশা করছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করবে। সে জন্য এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের ব্যবসা ভালোই হবে বলে আশা করছে তারা।
মার্সক জানিয়েছে, ২০২১ সালে তাদের রাজস্ব ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে তাদের মুনাফা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।