শেষ দিন ইলিশ বেচাকেনার ধুম

আজ শেষ দিন চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ সরবরাহ হয়। ছবি: আলম পলাশ
আজ শেষ দিন চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ সরবরাহ হয়। ছবি: আলম পলাশ

চাঁদপুরে ইলিশ বাজারে আজ বেচা-কেনার ধুম লেগেছিল। মা ইলিশ রক্ষায় আজ শনিবার রাত ১২টার পর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৬০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, ইলিশ বেচা-কেনা ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ কারণে আজ শেষ দিন চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে প্রচুর ইলিশের সরবরাহ হয়।

আজ সকাল ও বিকেলে চাঁদপুর মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর মাছঘাটে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার মণ ইলিশ বেচা-কেনা চলে। তবে এসব ইলিশের অধিকাংশ ছিল সমুদ্রের ইলিশ। অধিকাংশ ইলিশের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। এর চেয়ে ছোট আকারের ইলিশও ছিল। বড় আকারের এক কেজি ওজনের ইলিশ ছিল একেবারেই কম। এর মধ্যে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ইলিশের মণ সকালে ২০ থেকে ২২ হাজার এবং বিকেলে ২৩ থেকে ২৫ হাজায় বেচা-কেনা চলে। এর চেয়ে বড় আকারের ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা মণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ তার চেয়ে বেশি দামে বেচা কেনা চলে।

ভোর থেকেই চাঁদপুরের ইলিশের বাজার ছিল সরগরম। ছবি: প্রথম আলো

বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান কালু বলেন, অভিযান শুরু হবে জেনে ভোর থেকেই চাঁদপুরের ইলিশের বাজার ছিল সরগরম। সারা দিন মাছের চেয়ে ক্রেতা বেশি হওয়ায় এবার মাছের দাম তেমন কমেনি। স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি ছিল ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার লোকজন। সরকারের ২২ দিনের অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে আসা অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম আসেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ২২ দিনের অভিযানের শেষ দিন ইলিশের দাম কম হওয়ার খবরে ঢাকা থেকে সরাসরি এসে সরকারি উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা চাঁদপুর মাছঘাট থেকে প্রায় ৩ মণ ইলিশ কিনে নিয়ে যান।

ফরিদগঞ্জ এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী নাসরিন জানান, ২২ দিন ইলিশ কেনা যাবে না শুনে ৯ হাজার টাকা দিয়ে ৮০০ গ্রাম ওজনের একসঙ্গে ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুল বাকী জানান, দাম অনেক কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা ইলিশ কিনতে পারছে। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সাগর থেকে মিঠা পানিতে কোনো ইলিশই প্রবেশ করতে পারছে না। ছোট-বড় সব ইলিশই তুলে নিচ্ছেন জেলেরা।