সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর

শাড়ি লুঙ্গি গামছা রপ্তানির সুযোগ চান ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীরা ঈদুল ফিতর ও দুর্গাপূজা সামনে রেখে হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তাঁতের শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা পশ্চিমবঙ্গে রপ্তানির সুযোগ চেয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ ও সিরাজগঞ্জের অর্ধশতাধিক আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
সভায় বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ রায়, স্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারক রকিবুল ইসলাম, এনামুল হোসেন মোজমাল ও বিপ্লব সাহা, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর এলাকার তাঁতবস্ত্র আমদানিকারক গজেন্দ্র নাথ সরকার, প্রবাস প্রামাণিক, একরামউল্লাহ সাঈদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শাহজাদপুর হাটে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিপুলসংখ্যক তাঁতমালিক ও ব্যবসায়ী কাপড় কেনাবেচা করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা কেনাবেচা হয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি তাঁতের শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা যাচ্ছে না। কারণ বর্তমানে শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই এসব পণ্য রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, গঙ্গারামপুর, শিলিগুড়ি ও পশ্চিম দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায় পণ্য তিনটি নিতে বা পাঠাতে খরচ বেশি হয়। সে জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্য রপ্তানির অনুমতি চেয়েছেন। তাতে খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ কমবে, জনগণ উপকৃত হবে এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির সুবাদে উভয় দেশের সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।