গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য ব্যাংকটি ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত এ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়নি। ফলে বিষয়টি এখন এজিএমে তোলা হবে।
লভ্যাংশে অনুমোদন না দেওয়ার খবরের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি শেয়ারের দামে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক শেয়ারধারীদের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল তা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এখন ব্যাংকটি লভ্যাংশের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটি শেয়ারধারীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য রুপালী ব্যাংক ৫ শতাংশ বোনাস (স্টক) লভ্যাংশ ঘোষণা করে। গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের লভ্যাংশের সেই প্রস্তাবটি অনুমোদন করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে এ তথ্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানিয়েছে ব্যাংকটি।
করোনা সংকটের মধ্যে ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ ও মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী রাখতে গত মে মাসে ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলে সীমা বেঁধে দেয়।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়, ঘোষিত লভ্যাংশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বটি এখন শেয়ারধারীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিষয়টি শেয়ারধারীদের অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
করোনা সংকটের মধ্যে ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ ও মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী রাখতে গত মে মাসে ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলে সীমা বেঁধে দেয়। পাশাপাশি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করারও শর্ত আরোপ করা হয়।
মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া শর্তে, প্রভিশন সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেফারেল (বাড়তি সময়) সুবিধার আওতায় থাকা ব্যাংক ও ডেফারেল সুবিধার বাইরে থাকা ব্যাংকের ক্ষেত্রে মূলধন হারের ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে রূপালী ব্যাংকের ঘোষিত লভ্যাংশ কেন বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি সেটি জানা যায়নি। ব্যাংকের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, লভ্যাংশের অনুমোদন না দেওয়ার খবরের পরও আজ ব্যাংকটির শেয়ারের দামে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। দুপুর দেড় টা পর্যন্ত ডিএসইতে ব্যাংকটির শেয়ারের এক টাকা ৩০ পয়সা বা প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়ে ৩০ টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছিল।