বিজিএমইএ

রুবানা হকের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী

রুবানা হক
রুবানা হক

মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত–ফোরাম প্যানেল তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের সবগুলোতে জয়ী হয়েছে। ফলে সম্মিলিত–ফোরামের প্যানেল প্রধান হিসেবে রুবানা হক বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন।

বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় আজ শনিবার ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদের জন্য ভোট হয়েছে। ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন দুই প্যানেলের ৪৪ জন প্রার্থী। তার মধ্যে সম্মিলিত–ফোরামের ২৬ ও স্বাধীনতা পরিষদের ছিলেন ১৮ জন প্রার্থী। সম্মিলিত–ফোরামের সবাই বিজয়ী হন।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ১ হাজার ৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪৯২ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৭৬ শতাংশের মতো। ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ২০৪ জন এবং চট্টগ্রামের ৩৫৯ ভোটারের মধ্যে ২৮৮ জন ভোট দিয়েছেন। তবে ৯৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভোট গণনা শেষ হয়েছে।

বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল দিয়েছে। তার বিপরীতে নতুন জোট স্বাধীনতা পরিষদ খণ্ডিত প্যানেল দেওয়ায় সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচনে ৬ বছর পর ভোট হয়েছে। তবে স্বাধীনতা পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে সম্মিলিত–ফোরামের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজয়ীরা কত ভোট পেলেন:
সম্মিলিত–ফোরামের এম এ রহিম ১২৯৫, রুবানা হক ১২৮০, আরশাদ জামাল ১২৬৬, কে এম রফিকুল ইসলাম ১২৬৭, ইনামুল হক খান ১২৬৩, মিরান আলী ১২৫৭, মশিউল আজম ১২৫৬, মহিউদ্দিন রুবেল ১২৩৭, নাছির উদ্দিন ১২২৮, রেজওয়ান সেলিম ১২২৭, কামাল উদ্দিন ১২২৪, মোহাম্মদ নাছির ১২২৩, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ১২২১, মুনির হোসেন ১২১৮, এ কে এম বদিউল আলম ১২১৬, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ১২০৮, শহীদুল হক ১২০৭, ইকবাল হামিদ কোরাইশী ১২০১, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী ১১৯৬, মাসুদ কাদের ১১৮৭, মোশারফ হোসেন ঢালী ১১৭৪, এস এম মান্নান ১১৭৩, শরীফ জহির ১১৭৩, নজরুল ইসলাম ১১৪৯, আসিফ ইব্রাহিম ১১২৭, ফয়সাল সামাদ ১১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের জাহাঙ্গীর আলম ৪২২, দেলোয়ার হোসেন ২৭৫, হুমায়ুন রশিদ ২৫০, রফিক হাসান ৪৫৬, সাইফুল ইসলাম ৩০৭, শওকত হোসেন ২৪৩, খন্দকার ফরিদুল আকবর ২৬৩, জাহাঙ্গীর কবির ২১০, জাহিদ হাসান ২০৮, শরিফুল আলম চৌধুরী ২৩৭, কাজী আবদুস সোবহান ২৪৭, জহিরুল ইসলাম ১৯৭, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ ২৩৩, মাহমুদ হোসাইন ২১৩, হোসেন সাব্বির মাহমুদ ২২৭, আয়েশা আক্তার ২২০, মো. ওয়ালীউল্লাহ ১৯৯ এবং ওমর নাজিম হেকমত ২১২ ভোট পেয়েছেন।