রিটার্নের সঙ্গে যেসব তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করতেই হবে

হাতে সময় কিন্তু একদমই নেই। ৩০ নভেম্বর এবারের আয়কর রিটার্ন বা বিবরণী দেওয়ার শেষ সময়। অনেকেই হয়তো এরই মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। যাঁরা এখনো দেননি, তাঁদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো। কেননা, আয়কর রিটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন উৎসের আয়ের সপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ, তথ্য ও দলিল দাখিল করতে হবে। আসুন দেখে নেই কী কী দলিল দাখিল করতে হবে।

বেতন খাত

(ক) বেতন বিবরণী;
(খ) ব্যাংক হিসাব থাকলে কিংবা ব্যাংক সুদ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট;
(গ) বিনিয়োগ ভাতা দাবি থাকলে তার সপক্ষে প্রমাণ। যেমন জীবনবিমা পলিসি থাকলে প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রমাণ।

নিরাপত্তা জামানতের সুদ খাত

(ক) বন্ড বা ডিবেঞ্চার যে বছর কেনা হয়, সেই বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ফটোকপি;
(খ) সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র;
(গ) প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট বা ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।

গৃহ-সম্পত্তি খাত

(ক) বাড়িভাড়ার সমর্থনে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রসিদের কপি, মাসভিত্তিক বাড়িভাড়া পাওয়ার বিবরণ এবং প্রাপ্ত বাড়িভাড়া জমাসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী;
(খ) পৌর কর, সিটি করপোরেশন কর, ভূমি রাজস্ব প্রদানের সমর্থনে রসিদের কপি;
(গ) ব্যাংকঋণের মাধ্যমে বাড়ি কেনা বা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী ও সার্টিফিকেট;
(ঘ) গৃহ-সম্পত্তি বিমাকৃত হলে বিমা প্রিমিয়ামের রসিদের কপি।

ব্যবসা বা পেশা খাত

ব্যবসা বা পেশার আয়-ব্যয়ের বিবরণী (ইনকাম স্টেটমেন্ট) ও স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট)।

অংশীদারি ফার্মের আয়

ফার্মের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও স্থিতিপত্র।

মূলধনি লাভ

(ক) স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর হলে তার দলিলের কপি;
(খ) উৎসে আয়কর জমা হলে তার চালান বা পে-অর্ডারের ফটোকপি;
(গ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ–সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

অন্যান্য উৎসের আয়ের খাত

(ক) নগদ লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী, ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট;
(খ) সঞ্চয়পত্র হতে সুদ আয় থাকলে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের সময় বা সুদপ্রাপ্তির সময় নেওয়া সার্টিফিকেটের কপি;
(গ) ব্যাংক সুদ আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা সার্টিফিকেট;
(ঘ) অন্য যেকোনো আয়ের উৎসের জন্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।

আয়কর পরিশোধের প্রমাণ (উৎসে কর কর্তনসহ)

(ক) কর পরিশোধের সমর্থনে চালানের কপি, পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/অ্যাকাউন্ট পে চেক; ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। এর ঊর্ধ্বে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/অ্যাকাউন্ট পে চেক ব্যবহার করতে হবে।
(খ) যেকোনো খাতের আয় হতে উৎসে আয়কর পরিশোধ করা হলে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র।