রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বেড়েছে এক থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা

বাজেট
বাজেট

প্রস্তাবিত বাজেটে পুরোনো গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে বিদ্যমান অবচয় সুবিধা বছরভিত্তিক ৫ শতাংশ হারে কমানো হয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম সিসি ভেদে এক লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মো. হাবিব উল্লাহ ডন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সহসভাপতি রায়হান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ শরীফ, আবদুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ। 

নতুন ও পুরোনো বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কবৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বারভিডা। সংগঠনটির সুপারিশ, ইয়েলো বুকের নতুন মূল্য হতে ডলার বা ট্রেড ডিসকাউন্ট বাবদ ১০ শতাংশ বিয়োজন করার পাশাপাশি বছরভিত্তিক অবচয় হার আগের মতো রাখা হোক।

বারভিডা সভাপতি হাবিব উল্লাহ বলেন, ভারত থেকে প্রচুর গাড়ি বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু এগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। কয়েক বছরেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ জাপানের ৫ বছরের পুরোনো গাড়িও অনায়াসে ১০-১৫ বছর ব্যবহার করা যায়। তিনি আরও বলেন, ভারতের মানুষ নিজের দেশের গাড়ি ব্যবহার করছে না। তাই ভারতের উৎপাদকেরা তাদের নিম্নমানের গাড়ি বাংলাদেশে ‘পুশ’ করছে।

হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘চল্লিশ বছর ধরে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা দেশের ৯০ শতাংশ যানবাহনের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তবে বাজেটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান অবচয়-সুবিধা বছরভিত্তিক ৫ শতাংশ হারে হ্রাস করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে আমরা স্তম্ভিত ও ব্যথিত।’

আগামী বাজেটে ১ থেকে ১৬০০ সিসির স্তরকে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বারভিডা সভাপতি বলেন, পরিবেশ ও জ্বালানি সহায়ক হাইব্রিড গাড়ি আমদানির পথ সুগম হয়েছে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তবে প্রস্তাবিত শুল্কহার পুনর্বিবেচনার দাবি করছি।