কয়েক বছর ধরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সখ্যের কারণে ব্যবসাবাণিজ্যে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ চীন থেকে সরিয়ে আনার প্রবণতা আগামী দিনেও থাকবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা থেকেও ক্রেতারা ক্রয়াদেশ সরাবে।
প্রতিযোগী দেশগুলোতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার এই সুযোগ বাংলাদেশের রপ্তানি খাত দুভাবে নিতে পারে। প্রথমত, সীমিতভাবে ক্রয়াদেশ বেশি নিতে পারেন উদ্যোক্তারা। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করা। এ জন্য আগামী দিনের পণ্যের উৎসের হাব হিসেবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। কারণ, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পেট্রো কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, চামড়া, হালকা প্রকৌশল, সিরামিক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে।
রপ্তানি ধরে রাখতে আগামী দিনে জ্বালানি-বিদ্যুৎ বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এমনিতেই দেশে গ্যাসের ঘাটতি ছিল। গ্যাস–সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। আগামী আরও কিছু দিন গ্যাস-সংকট অব্যাহত থাকবে। তাই পোশাক তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাপড়ের একটি অংশ আমদানি করে চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি উদ্যোক্তাদের থাকতে হবে।