রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পুনর্গঠন করা দরকার

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

দেশের রপ্তানি খাত ইতিমধ্যে চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এ বছরের অর্জন ইতিবাচক। তবে সামনের দিনে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। তাতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে। তবে কমলেও অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের চেয়ে ভালো থাকবে বলা যায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে রপ্তানিকারকেরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাঁরা কম দাম পাওয়ার যে অভিযোগ করছিলেন, সেটি ডলারের দাম বাড়ায় পুষিয়ে নিতে পারছেন। এই সুবিধা আরও কিছুদিন থাকবে। তাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা ক্রেতাদের কম দাম অফার করতে পারবেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে তুলাবিহীন (নন-কটন) পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর শক্তিশালী উদ্যোগ নেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে সরকার। এখন তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে ১ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, তা নন–কটন পোশাকে দিলে রপ্তানিকারকেরা উৎসাহ পাবেন। এভাবে নগদ সহায়তা পুনর্গঠন করা দরকার। রপ্তানি খাতের দুই-তৃতীয়াংশ সুবিধা পায় পোশাকশিল্প। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচিত ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নগদ সহায়তা রপ্তানি বৃদ্ধিতে কতটা সহায়ক হচ্ছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করে উদীয়মান খাতে সহায়তা দেওয়া।

রপ্তানি বাড়াতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে (এফডিআই) উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা করসংক্রান্ত বাধার কথা বলেন। লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে ভোগান্তি আছে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে তা সহজ করার ঘোষণা দিতে পারেন। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।