মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের যেসব গ্রাহকের সংযোগের মেয়াদ ২০ এপ্রিলে শেষ হয়েছে অথবা চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তায় শেষ হবে, তাদের সংযোগ কমপক্ষে ৩১ মে পর্যন্ত সচল রাখা হবে। সংযোগের মেয়াদ বাড়বে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, এ জন্য গ্রাহকদের কিছুই করতে হবে না।
গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ইনকামিং ও আডটগোয়িং কলসহ অন্যান্য সেবা সক্রিয় থাকবে এবং গ্রাহকরা তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ সঙ্কটে টেলিযোগাযোগ খাতকে জরুরি সেবাখাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে চলমান লকডাউনের কারণে দেশজুড়ে কিছু রিচার্জ এজেন্ট পয়েন্ট তাদের সম্পূর্ণ সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। ব্যালেন্স রিচার্জে অসুবিধা দূর করতে ডিজিটাল সেবার পাশাপাশি ব্যালেন্স ট্রান্সফার (গ্রামীণফোন থেকে গ্রামীণফোন) ইতিমধ্যে ফ্রি করে দিয়েছে গ্রামীণফোন।
লকডাউন শুরু হবার পর থেকে হোম অফিস ও পারস্পরিক যোগাযাগে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে গ্রামীণফোন আরও বলছে, গ্রাহকদের পরিবর্তিত জীবনধারা ও নতুন সব প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারনেট অফারে ১০০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন ৩০ দিনের মেয়াদে একই দামে আগের ৮ জিবির (গিগাবাইট) অফারে এখন দ্বিগুণ, অর্থ্যাৎ ১৬ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ৪৮ পয়সা প্রতি মিনিটের একটি জনপ্রিয় অফারের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এর আগে এ প্যাকেজের মেয়াদ ছিলো ৩ দিন। এখন মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ দিন। পাশাপাশি, পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য বিল পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ দিন থেকে ২৫ দিন করা হয়েছে।
সেবা সংক্রান্ত এসব উদ্যোগ ছাড়াও, গ্রামীণফোন কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও নান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, ফেব্রুয়ারি শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৬০