সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঢাকার মিরপুরে ১০টি ভবন তৈরি হয়ে আছে দুই বছর আগেই। বহুতলবিশিষ্ট এসব ভবন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে। কিন্তু কোনো কাজে লাগছে না। খালি পড়ে আছে এসব ভবনের ৪৬৭টি ফ্ল্যাট।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তর নতুন করে ২ নভেম্বর খালি ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বাসাগুলো বরাদ্দ পেতে আবেদনের সময় আছে আর দুই দিন। অর্থাৎ আগামী সোমবার (৩০ নভেম্বর) আবেদনের শেষ দিন। অনলাইনেও আবেদন করার ব্যবস্থা আছে।
উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পর্যায়ের কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দের উদ্দেশে ২০৯টি নবনির্মিত বাসাকে বরাদ্দযোগ্য উল্লেখ করে আবাসন পরিদপ্তর আগ্রহীদের আবেদন করতে বলেছে। এফ শ্রেণির এ বাসাগুলোর একেকটির আয়তন ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বেশি।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তর নতুন করে ২ নভেম্বর খালি ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বাসাগুলো বরাদ্দ পেতে আবেদনের সময় আছে আর দুই দিন। অর্থাৎ আগামী সোমবার (৩০ নভেম্বর) আবেদনের শেষ দিন। অনলাইনেও আবেদন করার ব্যবস্থা আছে।
এদিকে আরও চারটি ভবনে খালি আছে ২২৯টি ফ্ল্যাট। এগুলো ই শ্রেণির এবং প্রতিটির আয়তন ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের। ষষ্ঠ গ্রেড থেকে তার ওপরের পদের কর্মচারীরা এ ফ্ল্যাটগুলো পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে অবস্থিত ন্যাম গার্ডেনের ৪ নম্বর ভবনে ই শ্রেণির আরও তিনটি ফ্ল্যাট খালি রয়েছে ষষ্ঠ ও তার ওপরের পদের সরকারি কর্মচারীদের জন্য।
অস্থায়ী শ্রেণির বাসা খালি রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে খিলগাঁও ও গ্রিন রোড ডরমিটরিতে ১০টি, যেগুলো ১৮ থেকে ১২তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য। বাকি ১৬টি ইলিশিয়াম ভবন, ডিওএইচ ইস্কাটন, ডিওএইচ গ্রিন রোড, সার্কিট হাউস এবং বেইলি স্কয়ারে। এগুলোর বেশির ভাগই নবম গ্রেডধারী কর্মচারীদের জন্য।
আবাসন পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীদের কেউই মিরপুর এলাকায় যেতে চাইছেন না। ফলে বারবার ফ্ল্যাট খালি থাকার বিজ্ঞপ্তি দিলেও এতে কোনো সাড়া দিচ্ছেন না তাঁরা। বাসা বরাদ্দের জন্য আবাসন পরিদপ্তর ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রথম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। আবেদনে সাড়া না পড়ায় পরিদপ্তর গত বছরের ১৩ নভেম্বর আবার বিজ্ঞপ্তি দেয়। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি বলে জানান আবাসন পরিদপ্তরের কর্মচারীরা।
মিরপুরে কেন থাকতে চান না—এমন প্রশ্নের জবাবে একজন যুগ্ম সচিব প্রথম আলোকে জানান, মিরপুর থেকে সচিবালয়ের অফিসে আসতে দুই ঘণ্টা, আর সচিবালয় থেকে বাসায় ফিরতে দুই ঘণ্টা—শুধু এই ঝক্কি এড়াতেই মিরপুরের ব্যাপারে অনাগ্রহী তিনি। আরেকজন উপসচিব বলেন, স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে ফ্ল্যাট কেনার যে সুযোগ দিয়েছে সরকার, সেই সুযোগ গ্রহণ করে তিনি শান্তিনগর এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। ফলে মিরপুরে যাওয়ার দরকার নেই তাঁর।