রাজধানীর বারিধারার মানবসম্পদ সেবার একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাড়ে ২১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে।
প্রতিষ্ঠানটির নাম ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি দেশের খ্যাতনামা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ও সাধারণ মানবসম্পদ সেবা বিক্রয় করে থাকে।
জব্দ করা কাগজপত্র অনুযায়ী ফ্রন্টডেস্ক প্রকৃত সেবা বিক্রয় করেছে ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। এই বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট দেওয়ার কথা ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
রাজধানীর বারিধারার মানবসম্পদ সেবার একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাড়ে ২১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে।
প্রতিষ্ঠানটির নাম ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি দেশের খ্যাতনামা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ও সাধারণ মানবসম্পদ সেবা বিক্রয় করে থাকে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি এই সেবা বিক্রয় করে আসছে।
ভ্যাট ফাঁকির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গত ১০ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানের বারিধারার অফিসে অভিযান চালায়। এতে ভ্যাট আইনের ৮৩ ধারা প্রয়োগে তাদের প্রাঙ্গণের নিজস্ব কম্পিউটার ও সংরক্ষিত বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এ সব তথ্যাদি যাচাই করে দেখা যায়, কোম্পানিটি প্রকৃত সেবা বিক্রয়মূল্য গোপন করে নামমাত্র সেবা মূল্য তাদের ভ্যাট রিটার্নে প্রদর্শন করে বিপুল প্রমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সেবা বিক্রয় দেখানো হয়েছে। এর বিপরীতে তারা ভ্যাট দিয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
তবে জব্দ করা কাগজপত্র অনুযায়ী ফ্রন্টডেস্ক প্রকৃত সেবা বিক্রয় করেছে ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। এই বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট দেওয়ার কথা ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠানটি এই পাঁচ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ভ্যাট আইন অনুসারে যথাসময়ে ভ্যাট না দেওয়ায় এই ফাঁকির ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মোট ২১ তোটি ৪৯ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ এনে আজ বুধবার ফ্রন্টডেস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ভ্যাট ফাঁকির দায়ে ন্যায় নির্ণয়নের মাধ্যমে এই রাজস্বের অতিরিক্ত সমপরিমাণ ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ হতে পারে।
ফ্রন্টডেস্ক ভ্যাট আইনের সেবার কোড ০৭২.০০ এর আওতায় ‘মানবসম্পদ সরবরাহ বা ব্যবস্থাপনা’ প্রতিষ্ঠান। এই আইন অনুযায়ী সেবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্তির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাভুক্ত হওয়ায় ভ্যাট ফাঁকির টাকা আদায় এবং ভ্যাট ফাঁকির অপরাধের ন্যায় নির্ণয়নের জন্য ঢাকা উত্তর কমিশনারেটে প্রেরণ করা হবে।