>
- যশোরের গদখালীতে বাণিজ্যিকভাবে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাষ
- বিক্রি হবে ৮০ হাজার চন্দ্রমল্লিকা
- দাম চার লাখ টাকা
যশোরের গদখালীতে বাণিজ্যিকভাবে ‘চন্দ্রমল্লিকা’ ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। আর এই চন্দ্রমল্লিকায় এবারের বসন্তবরণ উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে সারা দেশে সৌরভ ছড়াবে বলে দাবি ফুলচাষি ইমামুল হোসেনের। তিনি বলেন, এই দুই দিবস সামনে রেখে সারা দেশে ফুলের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ৮০ হাজার চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি করা হবে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য চার লাখ টাকা।
সম্প্রতি সরেজমিনে যশোরের গদখালীর মঠবাড়ি গ্রামে দেখা যায়, এবারই প্রথম ভারতের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক বিঘা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বাণিজ্যিক চাষ করেছেন ইমামুল হোসেন। আলাপকালে তিনি জানান, পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কয়েক দিন পর থেকেই ফুল তোলা শুরু হবে। এ দুই বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে সারা দেশের ফুল বিক্রেতাদের কাছে ৮০ হাজার চন্দ্রমল্লিকা পাঠানো হবে, যার আনুমানিক মূল্য চার লাখ টাকা। গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া থেকে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ছয় হাজার চারা এনে রোপণ করেন তিনি। শীত মৌসুমের চার মাসেই এই ফুলগাছ থেকে ফুল তোলা শেষ হয়ে যায়।
মঠবাড়ি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, ইমামুলের দেখাদেখি পটুয়াপাড়া গ্রামের মনজুর আলমও এ বছর চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন। আলাপকালে মনজুর আলম বলেন, ‘পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে আরও ২০ হাজারের মতো ফুল কাটা যাবে। তাতে আরও এক লাখ টাকার মতো আয় হবে।’
বাংলাদেশে চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ফুলের চাহিদা দেশের মধ্যে যেমন রয়েছে, তেমনি চাহিদা রয়েছে বিদেশেও। তাই চন্দ্রমল্লিকা চাষ অনেক সম্ভাবনাময় বলে আমি মনে করি। তাই এখন সরকার এ ফুলের জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে তাতে ভালো সুফল মিলতে পারে।’
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, তিন বছর ধরে গদখালীতে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাষ হলেও এ বছরই তা বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পেয়েছে। এ ফুল চাষের জীবনকাল স্বল্পমেয়াদি। শীত মৌসুমের চার মাসেই ফুলের চারা লাগানো থেকে ফুল কেটে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ জন্য চাষিরা এ ফুল চাষে আগামী বছর থেকে বেশি আগ্রহী হবেন।