বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে খরচ বাড়ানোর প্রবণতা বেশি এশীয়দের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ডের এক জরিপে দেখা গেছে, ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যয়ের হার ২০১৬ সালের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দিবসটিতে সামগ্রিক লেনদেন বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে এ সময়ে ব্যয়ের হার ৮ শতাংশ কমেছে।
মাস্টারকার্ডের জরিপের শিরোনাম ‘লাভ ইনডেক্স–২০১৯’। এতে তিনটি বিষয়কে ভিত্তি ধরে কাজ করা হয়। জরিপে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১-১৪ ফেব্রুয়ারির ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি–পেইড কার্ডে লেনদেন করা অর্থের পরিমাণকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভালোবাসা দিবসের ব্যয় হিসেবে রেস্তোরাঁ, হোটেল, যাতায়াত, বই, অলংকার ও স্টেশনারি সামগ্রী কেনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
মাস্টারকার্ড লাভ ইনডেক্স জরিপে উঠে এসেছে, ২৯ ভাগ এশীয় ভালোবাসা দিবসের কেনাকাটা করেন। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ চীনা নাগরিক ১২ ফেব্রুয়ারি উপহার কেনার পর্বটি সেরে ফেলেন। ভালোবাসা দিবসে ৮৬ শতাংশ এশীয় অনলাইন কেনাকাটার চেয়ে সরাসরি কেনায় বেশি আগ্রহী। এশীয়রা ভালোবাসা দিবসে রেস্তোরাঁয় তাঁদের মোট ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ খরচ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে রেস্তোরাঁয় ব্যয়ের হার ৪১ শতাংশ বেড়েছে। ভালোবাসা দিবসে রেস্তোরাঁয় ব্যয় বৃদ্ধিতে শীর্ষ দেশ ভারত। দেশটিতে ভালোবাসা দিবসে রেস্তোরাঁর গ্রাহকদের ব্যয় তিন বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
মাস্টারকার্ড বলছে, ভালোবাসা দিবস নিয়ে উন্মাদনা এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে। দিবসটিতে এশিয়ার দেশগুলোতে হোটেল ব্যয় বিগত বছরগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। লাভ ইনডেক্স জরিপে দেখা যায়, এশিয়ায় হোটেলে থাকার পেছনে গ্রাহকদের ব্যয় ২৭ ভাগ বেড়েছে। চীন ও ভারত এ ক্ষেত্রে এগিয়ে।