ভারত ১০ দিন আগে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও আবার নতুন দুয়ারও খুলতে যাচ্ছে। ফলে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ-ভারতের গম আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গত রোববার বাংলাদেশের দিল্লির হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানকে চিঠি পাঠিয়েছে।
খাদ্যনিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন গম আমদানি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। দেশে বার্ষিক গমের চাহিদা ৭৫ লাখ টন। দেশে উৎপাদিত হয় ১১ লাখ টন। বাকি ৬৪ লাখ টন গম আমদানি করা হয় রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত ও কানাডা থেকে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আসে মোট আমদানির ৪৫ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশ থেকে এখন আমদানি বন্ধ রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফারমার্স প্রকিউরমেন্ট প্রসেসিং অ্যান্ড রিটেইলিং কো–অপারেটিভস অব ইন্ডিয়া (এনএসিওএফ) সম্প্রতি এক চিঠিতে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে আগ্রহী। এ তথ্য হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের গম আমদানির স্বার্থে তিনি যেন ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এনএসিওএফ বা অন্য ভারতীয় সংস্থার মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে দেশটি থেকে যাতে শিগগিরই গম আমদানি করা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আটা-ময়দার দাম এক মাসেই বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এক বছর আগেও খোলা সাদা আটার কেজি ছিল ৩০-৩২ টাকা, যা গতকাল সোমবার ৪২-৪৮ টাকায় দেখা গেছে। আর প্যাকেটজাত আটা এক বছর আগের ৩২-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা।
একইভাবে এক বছর আগের তুলনায় খোলা ময়দার প্রতি কেজির দাম ২৫-২৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০-৬২ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দার দাম ৪২-৪৫ টাকা থেকে হয়েছে ৬০-৬৮ টাকা।
গম থেকে আটা ও ময়দা হয়, যা চালের পরই বাংলাদেশিদের অন্যতম খাদ্যপণ্য। আটা-ময়দা থেকে তৈরি হয় বিস্কুট, ব্রেড ও বেকারি পণ্য। রেস্তোরাঁয় হয় পরোটা, রুটি ইত্যাদি। আটা-ময়দার পাশাপাশি এসব পণ্যের দামও বেড়েছে।