ইউক্রেন নিয়ে সংকট শুরুর পর থেকে তেলের দাম কেবল বাড়ছেই। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ, কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। তাই গত সাত বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এখন ১১০ ডলার ছুঁয়েছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও তার বিপরীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় তেল-গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে দামেও।
দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) ৩০টি সদস্য দেশ তাদের কাছে থাকা মজুত থেকে ৬০ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়তে সম্মত হয়। কিন্তু অবস্থা এখন এতটাই খারাপ হয়েছে যে তাদের এই উদ্যোগ সত্ত্বেও তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি থামানো যাচ্ছে না।
অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বেড়েছে পেট্রলের দামও। পেট্রল তৈরির প্রধান কাঁচামাল অপরিশোধিত তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গে পেট্রলের দামও ওঠানামা করছে দেশটিতে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দেশটিতে ১০৯ ডলার করে প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেল বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বেড়েছে পেট্রলের দামও। পেট্রল তৈরির প্রধান কাঁচামাল অপরিশোধিত তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গে পেট্রলের দামও ওঠানামা করছে দেশটিতে।
এদিকে এক বিবৃতিতে আইইএ জানিয়েছে, আঁটসাঁট হয়ে থাকা বৈশ্বিক তেলের বাজার এবং দামের ঊর্ধ্বগতির অস্থিরতার মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এ অস্থিরতাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ কারণে দাম এখন বেড়েই চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের পদক্ষেপের কারণে বৈশ্বিক শক্তি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। কিন্তু তার প্রভাব সীমিত করার জন্য আমরা আমাদের কাছে থাকা প্রতিটা উপায় ব্যবহার করতে প্রস্তুত আছি।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া তেল-গ্যাস সরবরাহের গতি কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।