করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ থাকা দেশের সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান আগামী ১ মে থেকে খুলে দেওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
আপতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে গত সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে আবেদন করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া। আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি বরাবরও দিয়েছেন তাঁরা।
দোকান মালিক সমিতি বলেছে, করোনা প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ওষুধ ও নিত্যপণ্য ছাড়া দেশের সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাতে ক্ষুদ্র, খুচরা ও পাইকারি দোকানদারদের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজর সুবিধা ক্ষুদ্র, খুচরা ও পাইকারি দোকানদারদের পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
করোনার কারণে পয়লা বৈশাখে দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট হয়েছে, দাবি করেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা। তাঁরা বলেছেন, পয়লা বৈশাখের পাশাপাশি রোজা ও ঈদ উপলক্ষে ২০–২২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
দোকান মালিক সমিতি বলেছে, এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের আলোচনা সভায় পোশাকশিল্প ও বৃহৎ শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল থেকে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। অন্যদিকে নরসিংদী জেলা প্রশাসক, চেম্বার ও বণিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে বাবুর হাট পাইকারি বাজারও খুলে দেওয়া হয়েছে।