বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দেশব্যাপী জরিপের ভিত্তিতে ‘ইমপ্যাক্ট অব মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ—দ্য কেস অব বিকাশ’ শিরোনামের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ‘বিকাশ’ ব্যবহারে এর গ্রাহকদের একদিকে আয় বেড়েছে, অন্যদিকে সঞ্চয় বেড়েছে। এর ফলে আয় ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য রেখে পরিবারের কল্যাণ সাধিত হয়েছে এবং যেকোনো অভিঘাতের সময় ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়েছে। সামাজিক খাতে, যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এবং বিশেষত নারীর ক্ষমতায়নে বিকাশ ব্যবহারের প্রভাব অত্যন্ত উৎসাহজনক।
অর্থ স্থানান্তর অথবা বিল নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধের ক্ষেত্রে মুঠোফোন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে লেনদেনের ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে বিকাশ অর্থনীতির নৈপুণ্য বাড়িয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাংকের চেয়ে এমএফএস এগিয়ে গেছে, যার বেশির ভাগ অবদানই বিকাশের। এ ছাড়া ব্যাংকের তুলনায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও নারীদের মধ্যে এমএফএস অ্যাকাউন্ট থাকার হারও অনেক বেশি।
বিকাশের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে চারটি বিষয়: বিনিয়োগের গুণগত মান, প্রযুক্তি, বিতরণ নেটওয়ার্ক ও কমপ্লায়েন্স। জীবনমান উন্নয়নের এই পথযাত্রায় মানুষের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করে বিকাশ এখন বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের সদস্য।
এমএফএসের সব কমপ্লায়েন্স মেনে বিকাশ এখন ৫ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের এক বিশাল পরিবার, যেখানে প্রতিদিন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত পদ্ধতিতে পরিচয় নিশ্চিত করে যুক্ত হচ্ছেন আরও নতুন গ্রাহক।
করোনার সময় মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন স্বাভাবিক রেখে জীবন চলমান রাখতে বিকাশ হয়ে উঠেছিল বড় বন্ধু। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব অনুদানও স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সঙ্গে সঠিক উপকারভোগীর কাছে অর্থসহায়তা পৌঁছায় বিকাশ। করোনার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন বিতরণেও বিকাশ সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। করোনার মতো পরিস্থিতে বিকাশের মতো ডিজিটাল সেবার গুরুত্ব সবাই অনুধাবন করেছেন। বিকাশও প্রত্যেক গ্রাহককে তাঁর প্রয়োজন ও ব্যবহার অনুসারে ডিজিটাল লেনদেনের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে আধুনিকতম প্রযুক্তির সংযোজন এবং সেবার পরিধি বাড়ানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ায় শিগগিরই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য মার্চেন্ট রিটেইল অ্যাকাউন্ট সেবা যুক্ত হবে। এই সেবার মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে বিকাশের মাধ্যমে সব ধরনের কেনাকাটার অর্থ পরিশাধ করার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। ফলে দৈনন্দিন সবকিছু ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে কেনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া বিকাশ গ্রাহকদের জন্য সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধার যে পাইলট প্রকল্প চলছে, তা এ বছরই বাণিজ্যিকভাবে চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী আমরা। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা গ্রাহকের জন্য সঞ্চয়সহ আরও নানান ধরনের সেবা আনার প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে।