২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে ছোট ফ্ল্যাট নিবন্ধনে ব্যয় বাড়বে। এর বিপরীতে কমবে মাঝারি ফ্ল্যাট নিবন্ধনের ব্যয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রস্তাবিত বাজেটে ফ্ল্যাটের দামের ওপর মূল্য সংযোজন করের (মূসক/ভ্যাট) হার পুনর্নির্ধারণ করেছেন। এতে মাঝারি ফ্ল্যাট বিক্রি উৎসাহিত হবে।
এত দিন ১১০০ বর্গফুট আয়তনের ছোট ফ্ল্যাটের মূল্যের ওপর ভ্যাটের হার ছিল দেড় শতাংশ।
অন্যদিকে ১১০১ থেকে ১৬০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে ভ্যাট ছিল আড়াই শতাংশ। এই দুটি মিলিয়ে ভ্যাটের দাম ২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ছোট ফ্ল্যাটে আধা শতাংশ ভ্যাট বেড়েছে, অন্যদিকে মাঝারি ফ্ল্যাটে আধা শতাংশ কমেছে।
বড় ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হারে হেরফের হয়নি। ১৬০১ বর্গফুট বা তার চেয়ে বড় ফ্ল্যাটে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, যা আগেও ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব প্রস্তাব দেওয়ার আগে আবাসন খাতের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা মূলত ছোট ফ্ল্যাটের ক্রেতা। নতুন ভ্যাট হারে তাদের খরচ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটে আবাসন খাতের জন্য বিশেষ কিছুই নেই। আমরা বাজেট পর্যালোচনা করে কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তুলে ধরব।’
এবারের বাজেটে নতুন যোগ হয়েছে পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধনজনিত ভ্যাট। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী ২ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। আগে পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে নতুন ফ্ল্যাটের সমান হারে ভ্যাট দিতে হতো। অনেক দিন ধরেই আবাসন ব্যবসায়ীরা পুরোনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে ভ্যাট কমানোর দাবি করে আসছিলেন।
অবশ্য পুরোনো ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ আরোপ করায় ছোট ও মাঝারি পুরোনো ফ্ল্যাট কেনাবেচায় সুবিধা হয়নি। ছোট ও মাঝারি ফ্ল্যাট পুনর্নিবন্ধনে নতুনের সমানই হার পড়ছে। ১১০০ বর্গফুট পর্যন্ত আকারের পুরোনো ফ্ল্যাট পুনর্নিবন্ধনে এত দিন দেড় শতাংশ ভ্যাট দিলেই হতো। এখন সেটাও বাড়বে। ফলে এ ক্ষেত্রেও ছোট ও মাঝারি ফ্ল্যাটের ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।