বাণিজ্য মেলায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে

শেষ হয়েছে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা। গতকাল মেলার শেষ দিনে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা তেমন একটা ছিল না। গতকাল দুপুরে
  ছবি: প্রথম আলো

এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির আদেশ মিলেছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ১৩৮ কোটি টাকার সমান।

রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানানো হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় রেখে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পরিসর বাড়ানোর দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এই প্রদর্শনী কেন্দ্রের পরিধি অনেক ছোট। নানা কারণে এ বছর অনেক প্রতিষ্ঠানই মেলায় অংশ নেয়নি। তারপরও দর্শনার্থীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। চলতি বছর রপ্তানি আয় পাঁচ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০৪১ সালে ৩০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই লক্ষ্য পূরণে যেখানে আমাদের মেলার পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন, সেখানে অবকাঠামো আরও ছোট হয়েছে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা, দর্শনার্থীর সংখ্যা ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছর মেলার পরিধি বাড়াতে হবে।’

বাণিজ্য মেলা আনন্দমেলায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার মধ্যেও আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সেটা অবিশ্বাস্য।’ তিনিও বাস্তবতা বিবেচনায় আগামী বছর মেলার পরিধি বাড়ানোর আহ্বান জানান।

আগামী বছর যোগাযোগ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মেলার পরিধি আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নতুন জায়গা, যোগাযোগ ও করোনা সমস্যার কারণে আমাদের ভয় ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল।

অনুষ্ঠানে ১২টি শ্রেণিতে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা অংশগ্রহণকারী ও মেলা আয়োজনে অবদানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের ১০ কর্মকর্তা ও ২৭ সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।