বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে সৌদি আরবের। এ জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে তেলসমৃদ্ধ দেশটি। এই লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হওয়া দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরামকোসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় সাতটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
গতকাল বুধবার দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকের শুরুতে সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতা ও সে দেশের শ্রম ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রাহমান গাসিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুই দিনের বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হচ্ছে।
সৌদি আরামকোর ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ জুলিও সি হেজেলমেয়ার মোসেস বলেন, ‘আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিনিয়োগের সুযোগ কী আছে, তা জানতে এসেছি।’
সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রাহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। তাই প্রতিনিধিদলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি জানান, সৌদি আরবে প্রবাসী কর্মীদের ১৩ শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিক। সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বৈঠকের শুরুতে মনোয়ার আহমেদ বাংলাদেশের দক্ষ অশিক্ষিত শ্রমশক্তি সম্পর্কে সৌদিকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও সৌদি আরবে অবস্থানরত ৪২ হাজার রোহিঙ্গার প্রসঙ্গটি আলোচনায় তুলেছে দেশটি। ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে গেছে বলে সৌদি আরব তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে।
এদিকে ইআরডি কার্যালয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৌদি আরবের সফররত প্রতিনিধিদলটি। এরপর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের পাশে আছে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের দিন দিন উন্নতি হচ্ছে এবং আরও উন্নতি হবে।