বন্ধ সীমান্ত, তাই অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেই উৎসাহ দিচ্ছে সিঙ্গাপুর

  • করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরভাবে সীমান্ত বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় পর্যটন শিল্প নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিঙ্গাপুর।

  • কর্তৃপক্ষ চাইছে, সিঙ্গাপুরবাসীকে আকর্ষণীয় স্থানগুলি দেখার জন্য প্ররোচিত করে পর্যটন আয়ের ঘাটতি কিছুটা পূরণ করতে।

  • চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরভাবে সীমান্ত বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় পর্যটন শিল্প নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিঙ্গাপুর

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরভাবে সীমান্ত বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় পর্যটন শিল্প নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিঙ্গাপুর। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যান। এ বছরের জানুয়ারিতেও প্রায় ১৭ লাখ বিদেশি পর্যটক পেয়েছিল তারা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭০ হাজার বেশি। পরে কর্তৃপক্ষ করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিঙ্গাপুর পর্যটন বোর্ডের চেয়ারম্যান চ্যালি মাহ বলেন, এই মহামারির কারণে সিঙ্গাপুরের পর্যটন খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা একটি ছোট দেশ, আমাদের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের সুবিধা তেমন নেই। তবে এ পরিস্থিতিতে আমরা যা করছি সিঙ্গাপুরবাসীদের আমাদের স্থানীয় কয়েকটি আকর্ষণীয় স্থান দেখার জন্য উৎসাহিত করছি।

আসলে কর্তৃপক্ষ চাইছে, সিঙ্গাপুরবাসীকে আকর্ষণীয় স্থানগুলি দেখার জন্য প্ররোচিত করে পর্যটন আয়ের ঘাটতি কিছুটা পূরণ করতে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পর্যটন খাত থেকে গত বছর প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে সিঙ্গাপুর। এর মধ্যে কেবল বিদেশি পর্যটকেরা সিঙ্গাপুরে এসে ব্যয় করেছেন ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এ বছর করোনার কারণে সব ওলট পালট হয়ে গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ পর্যটক দিয়ে এর অন্তত ১০ শতাংশ আয় ধরে রাখতে চাইছে সিঙ্গাপুর। জুলাইতে সিঙ্গাপুরের টুরিজম বোর্ড অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের জন্য হোটেল, খাবার ও বেড়াতে যেতে উৎসাহিত করার জন্য ‘সিঙ্গাপো রিডিসকভারস কর্মসূচি’ শুরু করে। এমনকি সরকার ঘোষণা করেছে যে, স্থানীয়দের ভ্রমণে খরচ চালাতে তারা ‘টুরিজম ক্রেডিট’ হিসাবে ৩২ কোটি সিঙ্গাপুরের ডলার প্রণোদনা দেবে।

বিদেশিরা সিঙ্গাপুর ঘুরে গেলেও অভ্যন্তরীণ অনেক মানুষই এখনো বিভিন্ন আকর্ষণীয় জায়গা ঘুরে দেখেননি

বিদেশিরা সিঙ্গাপুর ঘুরে গেলেও অভ্যন্তরীণ অনেক মানুষই এখনো বিভিন্ন আকর্ষণীয় জায়গা ঘুরে দেখেননি। চ্যালি মাহ বলেন, দেশে অনেক আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে যা এখানকার মানুষকে গর্বিত করলেও তারা তা কখনো ঘুরে দেখেননি।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে গভীর। মূলত ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে গৃহীত পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্য ও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল দেশটির অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। দেশটির সরকার বলছে ২০২০ সালে অর্থনৈতিক সংকোচন ৫ দশমিক শূন্য শতাংশ থেকে ৭ দশমিক শূন্য শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে।