চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এবার সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের জট কমাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে বোর্ড।
করোনা সংকটের আগে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাসের সুযোগ ছিল। বন্দরে জট শুরু এক সপ্তাহ আগে আরও ছয় ধরনের পণ্য ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল রাজস্ব বোর্ড। কনটেইনার জট তীব্র হয়ে ওঠায় এবার সব পণ্য ডিপোতে স্থানান্তরের অনুমোদন দিল তারা।
রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মেহরাজ–উল–আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এই আদেশ অনুযায়ী, বন্দরে কনটেইনারজট নিরসনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া সব ধরণের পণ্যচালান বেসরকারি ডিপোতে সংরক্ষণ, আনস্টাফিং ও ডিপো থেকে খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
পণ্য সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ওই আদেশে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটি হলো, বন্দর থেকে ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার সময় প্রতিটি কনটেইনার স্ক্যানিং করতে হবে। আরেকটি হলো, এসব পণ্য খালাস নেওয়ার আগে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করতে হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য ওঠানো–নামানো ও সংরক্ষণ করতে পারলেও পণ্যের শুল্কায়ন ও কোথায় থেকে কোন পণ্য খালাস নেওয়া যাবে, তা ঠিক করে রাজস্ব বোর্ড ও এর আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস।
আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনোভাবে বন্দর পুরোদমে সচল রাখতে হবে।
নৌপরিবহন সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমদানি করা সব পণ্য ডিপোতে নেওয়ার সিদ্ধান্তে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। অন্তত বন্দর থেকে ১৮ হাজার কনটেইনার সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরুর পর বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসের হার কমে যায়। সাধারণ ছুটি দুই দফা বাড়ানোর পর পণ্য খালাসের হার আরও কমে আসে। এতে বন্দর চত্বরে নতুন করে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামিয়ে রাখার জায়গা কমতে থাকে। এ অবস্থায় ডিপোতে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার সরিয়ে নেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় ছিল না।