দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে আজ মঙ্গলবার। ঢাকার বাজারে আজ দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০৯ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত ২০২২ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৮৯৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল ডিএসইতে।
আজ মঙ্গলবার লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। ৫০ দিন পর এটিই ঢাকার বাজারের সর্বনিম্ন লেনদেন।
কয়েক দিন ধরে দরপতনের ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। তাতে সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও কিছুটা ধীরগতি ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। ৫০ দিন পর এটিই ঢাকার বাজারের সর্বনিম্ন লেনদেন। লেনদেন কমার পাশাপাশি এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৯ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে।
গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকটি ১২৬ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকটি ১২৬ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মাঝারি পর্যায়ের একাধিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন। এ কারণে নতুন করে বিনিয়োগ না করে তাঁরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।
ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ ডিএসইর মোট লেনদেনের মাত্র ৯ শতাংশ ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর। আর খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ, বস্ত্র ও বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৬ শতাংশই ছিল এ তিন খাতের কোম্পানিগুলোর দখলে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোম্পানিগুলোর লেনদেন কমে যাওয়ায় তা বাজারের সামগ্রিক লেনদেনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বাজার–সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৭৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬ শতাংশ বা ১৭৩টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৪১ শতাংশ বা ১৫৪টির দাম আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩ শতাংশ বা ৪৯টির দাম।