করোনার মধ্যে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসছে। এই প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করেই নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।
জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনেই ২২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এক মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। এতে বাড়ছে রিজার্ভ।
প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে নয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানা গেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি আয় পাঠাচ্ছেন। আবার অনেকে কোরবানির জন্য টাকা পাঠাচ্ছেন। অনেক সাহায্য–সহযোগিতাও আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো আয় আসছে। সরকারি প্রণোদনা ও রেমিট্যান্স বিতরণ সহজ হওয়ায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আয় আসা বাড়ছে। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল গত জুন মাসে, ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে আমদানি ব্যয় কমে গেছে। আবার রপ্তানি আয়ও কম। তবে প্রবাসী আয় আসছে, সঙ্গে ঋণ ও অনুদানও। এ কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। তবে এটা কত দিন ধরে রাখা যাবে, তা নির্ভর করছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আসার ওপর। কারণ, দেশের অর্থনীতি সচল করতে আমদানি বাড়াতেই হবে, যা ব্যয় হবে রিজার্ভ থেকেই।