ব্যাংক খাতে নারীদের ভালো করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও নারীরা ভালো করছেন, যদিও করোনাকালে দেশের ব্যাংকিং খাতে নারীদের কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের জুন মাসে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের বিপরীতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নারী কর্মীর অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে এত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, নারীরা কাজে ফাঁকি দেন কম।
ভালো করতে হলে সবাইকে কাজ শিখতে হবে, থাকতে হবে জানার আগ্রহ। ক্যারিয়ার গড়তে হলে যেমন পরিশ্রম করতে হবে, তেমনি শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ সময়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করা জরুরি। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে অবিরাম যোগ্যতা, দক্ষতা ও কর্মতৎপরতা বাড়াতে হবে।
সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগ কাজে লাগানোর মানসিকতা থাকতে হবে। মেধা, পরিশ্রম, সবকিছুর সমন্বয়, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ, জায়গায় বসে নিজের কাজ ঠিকমতো করা—যাঁরা এগুলো করতে রাজি আছেন, তাঁরাই ভালো করবেন।
আসলে যত কথাই বলি, পরিবার থেকে যদি অনুপ্রেরণা ও সমর্থন না মেলে, তাহলে ব্যাপারটা অসম্ভব।
এদিকে নারী উদ্যোক্তারা ব্যাংকে এলে আমরা তাঁদের প্রয়োজনীয় আর্থিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিই। মূলত যদি কেউ যোগ্য ও দক্ষ হন, আমরা কিন্তু নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা বলে পার্থক্য করি না। কেউ যদি সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন এবং তাঁর মেধা, বিচক্ষণতা ও কর্মকৌশল থাকে, তাহলে তাঁর ঋণ না পাওয়ার কারণ দেখি না আমি।
একসময় দেশে নারী উদ্যোক্তা ছিল না বললেই চলে। দিন বদলেছে, এখন অনেক নারী উদ্যোক্তা দেখা যায়। আমরা ব্যাংক থেকে নারীদের আর্থিক সেবার পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতেও কাজ করছি। ব্যাংকিং চ্যানেলে নারীদের অর্থায়নের জন্য নতুন নতুন ধারণা চালু হয়েছে। কিছু ব্যাংক শুধু নারীদের জন্যই শাখা চালু করেছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও সম্প্রসারণের আরও সুযোগ আছে।