পেঁয়াজের বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ পাতায়ও। বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাতার দাম মানভেদে ১৪০-১৬০ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে আস্ত পেঁয়াজই পাওয়া যাচ্ছে সর্বনিম্ন ১২০-১৩০ টাকায়। পেঁয়াজ পাতার দামি হয়ে ওঠার নেপথ্যে আছে পেঁয়াজের চড়া দাম।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে দেখা যায়, প্রতি ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ হিসেবে কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ১৬০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, একদিন আগেও গতকাল বুধবার পেঁয়াজ পাতার দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমায় পাতার দামও কিছুটা কমেছে।
কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের বিক্রেতা মোহাম্মদ রিপন প্রথম আলোকে বলেন, গতবার এ সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাতার দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা। এবার পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় পাতার দামও বেশি। পেঁয়াজের দাম কত কমবে, তার ওপর এখন নির্ভর করছে পেঁয়াজ পাতার দামও।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের আড়তে এখন চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রেয়াজুদ্দিন বাজারের আড়তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের চেয়ে পেঁয়াজ পাতার দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বেশি।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন পেঁয়াজ পাতার কদর ছিল না। এখন বেশ কদর পাচ্ছে। ঢাকার আশপাশের এলাকায় পেঁয়াজ পাতার চাষ হয়। চাইনিজ রেস্তোরাঁয় সবজিতে পেঁয়াজ পাতার ব্যবহার বেশি হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি তথ্য সার্ভিস বলছে, পেঁয়াজ পাতার স্বাদ ও গন্ধ প্রায় সাধারণ পেঁয়াজের মতো। এর ফুলের দণ্ডসহ সব অংশই বিভিন্ন খাবারকে রুচিকর ও সুগন্ধিপূর্ণ করে তোলার কাজ করে। পেঁয়াজ পাতা সালাদ হিসেবে কাঁচা খাওয়া হয়ে থাকে।