নেক্সডিকেড নামটি শুনলে ভবিষ্যতের কথা মনে হয়। ভবিষ্যৎ দশক কেমন হবে, সে ভাবনা মাথায় আসে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেক্সডিকেড টেকনোলজি লিমিটেডের কাজও তেমন। এটি বিটিআরসির প্রথম সারির লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান, যারা ভিটিএস যন্ত্র ও ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ও সরবরাহ করে। কোম্পানিটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ডিজিটালাইজেশনে কাজ করে আসছে।
হাঁটি হাঁটি পা পা
নেক্সডিকেড টেকনোলজি ২০০৬ সালে মোট ২১ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে ১২৭ জন কর্মী নিয়ে দেশব্যাপী সেবা প্রদান করছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আছেন চেয়ারম্যান আজিজুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার জামান।
গ্রাহকসেবাই মূল লক্ষ্য
২০০৯ সালে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানকে পুরো ভিটিএস, কল সেন্টার সমাধান, অনসাইট ইনস্টলেশন ও বিক্রয়–পরবর্তী গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে।
নতুনে আগ্রহ
নেক্সডিকেড টেকনোলজি বাংলাদেশেই আইওটি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে তাদের গবেষণা, নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন, কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। নেক্সডিকেড টেকনোলজি ২০০৯ সাল থেকে দেশে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ভেহিকল ও ভেসেল ট্র্যাকিং সলিউশনসহ পুরো ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার বাজারজাত করে। তাদের অন্যান্য সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে জিএসএম অ্যাটেন্ডেন্স মেশিন ও এইচআর সফটওয়্যার, জিএসএম পাওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, জিএসএম ওয়াটার পাম্প মনিটরিং সিস্টেম, আইওটি প্ল্যাটফর্ম ও প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট। নেক্সডিকেডের ভিটিএস প্রোডাক্টসমূহ হচ্ছে কার ট্র্যাকার, মোটরসাইকেল/সিএনজি ট্র্যাকার, ভেসেল বা নৌযান ট্র্যাকার। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ভারি যন্ত্রের জন্যও ট্র্যাকার রয়েছে। এ ছাড়া নেক্সডিকেড টেকনোলজি বাংলাদেশের একটি মুঠোফোনে সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বিনোদন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। যেখানে একজন ব্যবহারকারী নিজেই কোনো কিছু বানিয়ে জমা দিতে পারেন।
সীমানা ছাড়িয়ে
নেক্সডিকেড টেকনোলজি লিমিটেড দেশি ও বিদেশি কোম্পানির জন্য হার্ডওয়্যার ডিজাইন, ফ্লিমওয়্যার উন্নতকরণ ও সফটওয়্যার তৈরি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এ দেশেই তথ্যপ্রযুক্তিপড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনে অবদান রাখার সুযোগ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নেক্সডিকেড টেকনোলজি তাদের প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করেছে।