সরকারি কর্মচারীরা এখন লোভের কারণে দুর্নীতি করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেছেন, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য সহনশীলতা বা ‘জিরো টলারেন্সের’ নীতি নিয়েছেন। দুর্নীতি কমাতে কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। ফলে সংসার চালাতে দুর্নীতি করতে হয়, এই যুক্তি এখন আর খাটে না।
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, সম্প্রতি এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর কাছে এসে বলেছেন, যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার ভালোমতো চলে যায়। এমনকি মাসে কয়েকবার পরিবারকে নিয়ে বাইরে খেতেও যেতে পারেন।
এ ঘটনা বর্ণনা করে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকারি কর্মচারীদের একাংশের লোভই দুর্নীতির কারণ।
আইএফসির প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘অ্যাজাইল রেগুলেটরি ডেলিভারি ফর ইমপ্রুভড ইনভেস্টমেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইন বাংলাদেশ’। এটি প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইএফসি ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনেক সময় আমলাতন্ত্রের মধ্যম ও নিচের পর্যায়ে আটকে যায়। ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতি করতে আমলাতন্ত্রের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নের জন্য নির্মাণকাজে অনুমতির প্রক্রিয়া কমানো হয়েছে। কিন্তু সেটি রাজউকে বাস্তবায়িত হয়নি।
সালমান এফ রহমান মধ্য ও নিচের পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরামর্শ দেন আইএফসিকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসা করা সহজ করতে হবে।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীর ফাইন্যান্স কম্পিটিটিভনেস বিভাগের দক্ষিণ এশিয়ার প্র্যাকটিস ম্যানেজার রফ বেন্ট, আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার, ডিএফআইডির বাংলাদেশপ্রধান জুডিথ হারবারস্টোন, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীর প্রোগ্রাম লিডার ইউতুকা ইওশিনো, সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট মিয়া রহমত আলী, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।