তিন দিনের মধ্যে মিলবে ভ্যাটের ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন)। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে তিন দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে ই-মেইলে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এটি ইবিআইএন হিসেবে পরিচিত।
তবে আবেদন বিধিসম্মত না হলে ভ্যাট কর্মকর্তারা কারণ জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে জানিয়ে দেবেন। অনলাইনে আবেদনের পর অনুমোদন পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কার্যালয়ে সরেজমিনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। তবে কেউ স্বেচ্ছায় ভ্যাট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন।
ভ্যাটের নিবন্ধন নিয়ে সম্প্রতি এনবিআর বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগগুলোর বেশির ভাগই হলো অনলাইনে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করার পর ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত নোটিফিকেশনের অনুলিপি ও আবেদন–সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ভ্যাট কার্যালয়ে গিয়ে নিবন্ধন করানো সংক্রান্ত। এনবিআরের ভাষায়, এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এনবিআরের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে এনবিআর।
নতুন ভ্যাট আইনে ইবিআইএন ছাড়া ভ্যাট রিটার্ন দেওয়া যাবে না। ফলে কেউ আর পুরোনো বিআইএন ব্যবহার করতে পারবেন না।
নতুন ভ্যাট আইনে কোনো প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম হলে ভ্যাট দিতে হবে না। তাই নিবন্ধনও নিতে হবে না।
এনবিআরের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গত ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫২৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইবিআইএন নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটেই আছে ১ লাখের মতো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে কম ৭ হাজারের কিছু বেশি প্রতিষ্ঠান সিলেট ভ্যাট কমিশনারেটে নিবন্ধিত হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বিভাগে আছে ১৯ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
তবে পুরোনো আইনের আওতায় সব মিলিয়ে সাড়ে ৮ লাখ প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছিল। সব মিলিয়ে বছরে গড়ে ৬০ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন দিত।