রাজধানীর বাজারে এখন আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি। বাজেটে কর আরোপের কারণে বেড়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। এ ছাড়া ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, সরু মসুর ডাল, সবজি ও আলুর দামও বেড়েছে।
এর বাইরেও কিছু পণ্যের দাম এখন বেশ চড়া। যেমন গরুর মাংস ৫৫০ টাকা কেজির নিচে কেনা যাচ্ছে না। মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে। ‘ভালো’ কোনো মাছ কিনতে গেলেই লাগছে কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে এখন বেশ চাপে আছে সীমিত আয়ের মানুষ। একসঙ্গে তাদের বাজারের ব্যয় বেশ বেড়ে গেছে। অবশ্য সরু চালের দাম বেশ কমেছে। আটার দামও নাগালে আছে। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
বিশ্ববাজারে চিনির দাম এখন বেশ কম। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, গত মাসে চিনি বিক্রি হয়েছে টনপ্রতি ২৮০ মার্কিন ডলার দরে। বাংলাদেশে দাম বেড়েছে বাজেটে কর আরোপের কারণে। এবার বাজেটে চিনির ওপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো হয়। তাতে প্রতি কেজি চিনিতে কর বাড়ে প্রায় ৫ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে যেসব খুচরা দোকানে আগে চিনি ৫২ টাকায় বিক্রি হতো, সেখানে এখনকার দর ৫৬ টাকা। একই বাজারের পাইকারি প্রতিষ্ঠান সোনালি ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, বাজেটের আগে প্রতি বস্তা চিনির দাম ২ হাজার ৪০০ টাকার মতো ছিল, এখন সেটা ২০০ টাকা বাড়তি। একইভাবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ড্রামপ্রতি (২০৪ লিটার) ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪ হাজার ২০০ টাকা ও পামতেলের দাম ড্রামে ৬০০ টাকা বেড়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে বলে জানান তিনি।
আবুল কাশেমের হিসাবে, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২ টাকা ও পামতেলের দাম প্রায় ৩ টাকা বেড়েছে।
ডিমের দামও বেশ চড়া। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১১০-১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক দিন আগে ১০০-১০৫ টাকায় নেমেছিল। হাঁসের ডিমের ডজন এখন ১৩০ টাকা, যা আগের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। ভালো মানের দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে দেশি রসুন পাওয়া যাচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অবশ্য কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে দেশি রসুন ১১০ ও চীনা রসুন ১৪০ টাকা।
বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দর আছে গোল বেগুনের, কেজি ৭০-৮০ টাকা। টমেটোর দামও কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে ২৫ টাকায় উঠেছে। কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. ফারুক বলেন, বেশির ভাগ সবজির দাম আগের চেয়ে বাড়তি। টমেটোর দাম বরং কমেছে। দুই দিন আগেও তা ১০০ টাকা কেজি ছিল।