কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারও পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল ছয়টি ট্রলার থেকে ৫৬৯ টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। এ নিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত দুদিনে ১ হাজার ২১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
খালাস হওয়া পেঁয়াজ ছাড়াও নাফ নদীতে আরও চারটি ট্রলারে ৪০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আজ বুধবার স্থলবন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে। টেকনাফ স্থলবন্দরে কাস্টমস সুপার আবছার উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে—যার আমদানিমূল্য ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
আমদানিকারকেরা জানান, পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বন্দরে জেটি, শ্রমিকসংকট ও মালামাল খালাসের জেটিতে ছাউনি না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে পণ্য খালাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গতকাল সকালে স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পেঁয়াজ খালাস বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক এম এ হাশেম বলেন, শ্রমিকসংকট ও বৃষ্টির কারণে জেটিতে ছাউনি না থাকায় পেঁয়াজ খালাস করতে বিলম্ব হয়েছে। স্থলবন্দরের সুবিধা বাড়লে পেঁয়াজ আমদানিও বাড়বে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইডেট ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীরা পণ্য নষ্টের ভয়ে খালাস করেন না। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য স্থলবন্দরের উত্তর পাশে নতুন করে আরও একটি জেটি স্থাপন করা হয়েছে।