ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা স্পাইসজেট নিজেদের পাঁচটি উড়োজাহাজের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা ও ফার্মা সংস্থার ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জরুরি ওষুধ পরিবহন শুরু করেছে।
তিন সপ্তাহ আগে ভারতে লকডাউন চালু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৩০টি ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রায় চার হাজার টন জরুরি পণ্য বহন করেছে স্পাইসজেট, যা ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহন করা মোট পণ্যের ৭০ শতাংশের বেশি।
বিমান সংস্থাটির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্পাইসজেট পণ্য নিয়ে ১৮টি কার্গো বাংলাদেশে পরিচালনা করেছে। আগামী দিনে আরও ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।
ইতিমধ্যে ভারতে ও বিভিন্ন দেশে ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, জরুরি সার্জিক্যাল সরঞ্জাম, কোভিড-১৯ চিহ্নিত করার আইআর থার্মোমিটার, হ্যাজম্যাট স্যুট, করোনাভাইরাস র্যাপিড টেস্ট কিট ইত্যাদি সরবরাহ করেছে স্পাইসজেট। নিজেদের বি৭৩৭ ও কিউ ৪০০ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজকে মালবাহী উড়োজাহাজে রূপান্তরিত করে জরুরি পরিস্থিতিতে নিজেদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়েছে এয়ারলাইনসটি।
বৈশ্বিক মহামারির এই সময়ে বেসরকারি এয়ারলাইনসটি আকাশপথে চীনের সাংহাই ও হংকং, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি, আফগানিস্তানের কাবুলসহ বিভিন্ন দেশে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ গ্রহণ করছে ও পৌঁছে দিচ্ছে।
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ লজিস্টিকস গ্লোবাল কার্গো জিসিএ হিসেবে স্পাইসজেটের এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।
এমজিএইচ গ্রুপের সিইও আনিস আহমেদ বলেন, ‘ভারতের অন্য কোনো বিমান এখন পর্যন্ত এমন নিবেদিত মালবাহী ফ্লাইট কার্যক্রম চালাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে জরুরি পণ্য ও চিকিৎসা সহায়তার ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে লক্ষ্য করে ইতিমধ্যে এমজিএইচের সঙ্গে একজোট হয়ে স্পাইসজেট মালবহনের কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং আকাশপথে যাত্রাকে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
এমজিএইচ লজিস্টিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। গত ১৩ বছরে মোট ১৮টি উদীয়মান বাজারে নানা ধরনের সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পর প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে।