>হোয়াটসঅ্যাপে চলছে ব্যাংকিং, মোবাইলে মিলছে ঋণ। ব্যাংক হিসাব খুলছে অ্যাপেই। করোনার এমন আরও অনেক সেবা এনেছে ব্যাংকগুলো।
২০১৫ সাল থেকে মুঠোফোনে আর্থিক সেবা বিকাশ ব্যবহার করছেন ফেনীর মুদিদোকানি সাইদুল ইসলাম। এত দিন টাকা পাঠানো, গ্রহণ ও মোবাইল রিচার্জেই সীমিত ছিল বিকাশের ব্যবহার। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা ঋণ পেয়েছেন। এ জন্য কোনো নথিপত্রে দিয়ে আবেদন করতে হয়নি, শুধু বিকাশের অ্যাপের মাধ্যমে ক্লিক করে আবেদন করেছেন।
একইভাবে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী তাবাসসুম জাহানও বিকাশের অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করে ১ হাজার ৫০০ টাকা ঋণ পেয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র আকারের ডিজিটাল ঋণের সূচনা করেছে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ।
সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ প্রয়োজনেই বিকাশ থেকে ঋণ পেয়েছি। তিন মাসে শোধ দিতে হবে। এভাবে পেলে খুব উপকার হবে। চড়া সুদে ধারদেনা করতে হবে না।’
তাবাসসুম জাহান বলেন, ‘গত সপ্তাহে হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলো। বিকাশ থেকেই ১ হাজার ৫০০ টাকা পেয়ে গেলাম। প্রতি মাসে ৫০০-এর কিছু বেশি টাকা হিসাবে রাখতে হবে, এমনিতেই কিস্তি কেটে নেবে। এভাবে তিন মাসে ঋণ শোধ হয়ে যাবে। এমন সেবা আমাদের খুব কাজে দেবে।’
করোনায় এমন অনেক ডিজিটাল সেবা চালু করেছে ব্যাংকগুলো। এর ফলে ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক হওয়া যাচ্ছে। কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার নিরাপত্তা পিন ঘরে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনলাইন কেনাকাটায় নগদ টাকা বা কার্ডও ব্যবহার করতে হচ্ছে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া আগে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর, মোবাইল রিচার্জ, অনলাইন কেনাকাটা, বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সুবিধা তো রয়েছেই।
জানা গেছে, সারা বিশ্বের ব্যাংকগুলো তাদের সেবা বেশ আগে থেকেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। তবে সুযোগ থাকার পরও বাংলাদেশের সব ব্যাংক এই পথে এগোয়নি। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগে অনীহা, মানসম্পন্ন জনবলের ঘাটতি ও সর্বোপরি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের মনোযোগের অভাবের কারণে ব্যাংকগুলোর গুরুত্ব এদিকে কম। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ধীরে ধীরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক সেবায় গুরুত্ব বাড়াচ্ছে অনেক ব্যাংক। এর মধ্যে অনেক ব্যাংক ঘরে বসে সেবা নিতে নতুন পণ্য চালু করেছে, আবার অনেকে চালুর অপেক্ষায়।
সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল ঋণ
করোনার মধ্যে বিকাশের গ্রাহকদের জন্য মোবাইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ডিজিটাল ঋণ চালু করে দি সিটি ব্যাংক। আপাতত এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছে। বিকাশ লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ঠিক করছে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কি না। যোগ্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংক ওই গ্রাহককে ঋণ দিচ্ছে। এই ঋণ পেতে কোনো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। শুধু বিকাশ অ্যাপে ক্লিক করে ঋণ আবেদন করতে হচ্ছে। মুহূর্তেই ঋণের টাকা চলে যাচ্ছে বিকাশ হিসাবে। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন এই ডিজিটাল ঋণ চালু হয়েছে। এর সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। তিন কিস্তিতে বিকাশ থেকেই এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন এ নিয়ে বলেন, ছোট ব্যবসায়ীসহ অনেকের তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ প্রয়োজন হয়। এ জন্য তাঁরা চড়া সুদে মহাজন থেকে ঋণ নেন। এখন মোবাইলেই তাৎক্ষণিক এই ঋণ পাবেন। এটি পুরোপুরি চালু হলে ভোগান্তি, হয়রানি ও চড়া সুদ থেকে রেহাই পাবে দেশের মানুষ।
পাশাপাশি ব্যাংকটি বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকদের জন্য ঘরে বসে চলতি মূলধন ঋণের আবেদনের জন্য নতুন অ্যাপস চালু করেছে। ব্যাংকটি ইউনিলিভার, এসিআই, স্কয়ার, রবি, প্রাণ, আরএফএল, বিকাশ, গ্রামীণফোন, বাজাজ, সিনজেনটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০০ পরিবেশকের সঙ্গে কাজ করে। এ খাতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ঋণও আছে। এর ফলে পরিবেশকেরা ঋণের প্রয়োজন হলে অ্যাপসে আবেদন করতে পারবেন। ঋণ অনুমোদন হলে টাকা হিসাবে চলে যাবে।
ঢাকা ব্যাংকের দুই সেবা
এদিকে গ্রাহকদের ঘরে বসে সেবা নিতে নতুন দুটি উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ব্যাংক। এর মধ্যে দুটি সেবাই বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নতুন। গত জুনে ব্যাংকটি ঘরে বসে অনলাইনে হিসাব খোলার সুবিধা চালু করে। অনলাইনে হিসাব খুললে ব্যাংকটি বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে বিনা মূল্যে এটিএম কার্ড ও চেক বই। ব্যাংকটির প্রতিনিধি নতুন গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে হিসাব খোলার ফরমে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আনছে। এভাবে প্রায় ৫০০ নতুন হিসাব খুলেছে ব্যাংকটি।
আবার গত সপ্তাহে ব্যাংকটি হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া শুরু করেছে। যাঁদের ব্যাংকে হিসাব আছে, তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো অঙ্কের টাকা স্থানান্তর, পরিষেবা বিল পরিশোধ, বিকাশে টাকা স্থানান্তর, জমা টাকার পরিমাণ জানাসহ আরও নানা সেবা নিতে পারছেন। ব্যাংকটির সব গ্রাহক এ সুযোগ পাচ্ছেন।
ঢাকা ব্যাংকের এমডি এমরানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রাহকদের আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে সেবা দিতে দুটি নতুন সেবা চালু করা হয়েছে। আমরা ভালো সাড়াও পাচ্ছি। সামনে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও নতুন নতুন সেবা চালু করা হবে।’
সোনালীর ই-সেবা
রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক গত মাসের শুরুতে ‘সোনালী ই-সেবা’ নামের নতুন অ্যাপস চালু করেছে। এর ফলে মুঠোফোন অ্যাপসের মাধ্যমে দুই মিনিটে ঘরে বসেই খোলা যাচ্ছে নতুন হিসাব। আর এই অ্যাপস থেকে টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, সরকারি ভাতা ও ভর্তুকি গ্রহণসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সব সুবিধা মিলছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে দুই মাসে প্রায় ৩০ হাজার নতুন গ্রাহক তৈরি করেছে ব্যাংকটি। এদিকে ব্যাংকটি তার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ভাতা পাঠানো শুরু করেছে। ব্যাংকটি নতুন করে একটি লেনদেন অ্যাপ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ লেনদেনের সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।
সোনালী ই-সেবার মাধ্যমে হিসাব খুলেছেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার শামীমা নাসরিন। স্থানীয় একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘নতুন চাকরি হয়েছে। তাই ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। এ জন্য কোথাও যেতে হয়নি। মোবাইলের মাধ্যমেই হিসাব খুলে ফেলেছি। এখন মোবাইল দিয়েই ব্যাংকের সব সুবিধা মিলছে।’
সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান বলেন, দেশের সব প্রান্ত থেকে যাতে ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া যায়, এ জন্য নতুন নতুন সেবা চালু করা হচ্ছে। কম সময়ে ভালো সাড়াও মিলছে। এসব সেবা পুরোপুরি চালু হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও এগিয়ে যাবে।
ইবিএলের ক্যাশলেস পে
অনলাইন কেনাকাটায় হোম ডেলিভারি নেটওয়ার্ক পেপারফ্লাইয়ে ডিজিটাল মূল্য পরিশোধ ব্যবস্থা ‘ক্যাশলেস পে’ সেবা শুরু করেছে ইস্টার্ণ ব্যাংক। অনলাইন আদেশে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছানোর সময় নগদ অর্থের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। মাস্টারকার্ডের সহায়তায় এই সেবা নিশ্চিত করছে পেপারফ্লাই। এ জন্য কোনো পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিনের প্রয়োজন হচ্ছে না।
এমটিবির গ্রিন পিন
গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) চালু করেছে ‘গ্রিন পিন’। এর মাধ্যমে ডেবিট কার্ডের পিনের জন্য ব্যাংক থেকে নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে না। কলসেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেই নিরাপত্তা পিন যুক্ত করতে পারছেন। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার পিনও একই মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি করোনার কারণে বিমাযুক্ত আমানত পণ্য চালু করেছে ব্যাংকটি।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনায় অনেক দেশের গ্রাহকেরা ব্যাংক শাখায় না এসেও সব সেবা নিতে পারছেন। তবে আমরা সব সেবা দিতে পারছি না। কারণ, এখনো কাগজে নথি জমা ও সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে। এ জন্য নিয়মনীতির কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। প্রয়োজনে আপত্কালীন ছাড় দিতে হবে। সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমা ও সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপরও আমরা কিছু সেবা চালু করেছি।’
ট্রাস্টের মানি অ্যাপ ও অন্যান্য
গ্রাহকদের ঘরে বসে সেবা নিতে ট্রাস্ট মোবাইল মানি অ্যাপ চালু করছে ট্রাস্ট ব্যাংক। ব্যাংকটির এমডি ফারুক মঈনউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, নগদ টাকা ছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে সব সেবা পাবেন গ্রাহকেরা। ঈদের পরই নতুন এ সেবা চালু করা হবে।
শুধু ব্যাংকগুলো নয়, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই সময়ে নতুন সেবা চালু করেছে। এখন যেকোনো ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে টাকা আনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা ‘নগদ’ হিসাবে। তাই যেসব নগদ গ্রাহকের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে, তাঁদের নিজেদের নগদ হিসাবে টাকা জমার জন্য আর এজেন্টের কাছে যেতে হচ্ছে না। ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড—এই তিন ধরনের কার্ড থেকে যেকোনো সময় নগদ হিসাবে টাকা আনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, এখন হিসাব খোলার পাশাপাশি টাকা স্থানান্তর, পরিষেবা ও ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, মোবাইল হিসাবে টাকা স্থানান্তরসহ নানা সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনো সব ব্যাংক এসব সেবা চালু করতে পারেনি। আবার ব্যবসায়িক বিভিন্ন লেনদেন, ঋণ আবেদন, নথি জমা অনলাইনে পুরোপুরি চালু হয়নি। এরপরও কিছু কিছু ব্যাংক এগিয়ে আসছে।
গ্রাহকেরা আরও কী ধরনের সেবা অনলাইনে পেতে চায়, এ নিয়ে কথা হয় দুজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে। প্রমিক্সকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৌসুমী ইসলাম জানান, ব্যবসা সহজীকরণ করার জন্য ঋণপত্র খোলা ও এর পরবর্তী ধাপসমূহ অনলাইন হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে বন্দরভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমও সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়া অতীব জরুরি। এতে পণ্যের সহজীকরণ হবে। চাপমুক্ত থাকবে ব্যবসায়ীরা।
আর পল্টনের জুতার ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, মাল কিনতে গেলে টাকা সঙ্গে করে নিতে হয়। যদি বিকাশে আরও বেশি টাকা পাঠানো যেত। আর টাকা উত্তোলন খরচ কমে আসত, তাহলে ভালো হতো। নগদ টাকা সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হতো না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার বিস্তৃতি বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, এখনো শুধু ছোট লেনদেনে গ্রাহক সম্পর্কিত তথ্য (কেওয়াইসি) ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা যাচ্ছে। বড় লেনদেনে হিসাব খুলতেও ডিজিটাল কেওয়াইসি চালু করা প্রয়োজন। এ ছাড়া যেসব কাগুজে নথি জমা ও সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাতেও ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফাইল সংরক্ষণ করলেই চলে। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমে, ব্যাংকগুলোতেও কাগজের ব্যবহার কমে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকেরা এখনই সব ডিজিটাল সেবা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এ জন্য ব্যাংকগুলোর এই খাতে বিনিয়োগের আগে অনেক চিন্তাভাবনা করে। তবে করোনার কারণে খরচের কথা চিন্তা না করে টিকে থাকতে সবাই নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে। সামনে এর সুবিধা সব গ্রাহক পাবেন।
ঢাকা ব্যাংক
হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাংকিং সেবা ও ঘরে বসে হিসাব খোলার সুবিধা।
সিটি ব্যাংক
পরিবেশকের চলতি মূলধন ঋণের জন্য নতুন অ্যাপস ও ডিজিটাল ঋণ চালু।
সোনালী ব্যাংক
সোনালী ই-সেবা অ্যাপস চালু।
ইস্টার্ণ ব্যাংক
ক্যাশলেস পে সুবিধা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
অনলাইনে নিরাপত্তা পিন সুবিধা ‘গ্রিন পিন’ চালু।