সম্প্রতি বন্ধ-ঘোষিত গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের ওষুধ কারখানায় ব্যবহৃত ক্রিম ও অয়েন্টমেন্ট-জাতীয় ওষুধের উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু সরঞ্জাম কিনতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠান ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস।
বেটনোভেটসহ বেশ কয়েকটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ তৈরিতে জিএসকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করত। চুক্তির বিষয়ে ২২ ডিসেম্বর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপ তাদের রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প ও সিরামিকশিল্পে সাফল্যের হাত ধরে ওষুধশিল্পে বিনিয়োগ করছে।
প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে গাজীপুরের কাশিমপুরে সম্পূর্ণ ইউএস এফডিএ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নির্মাণাধীন ডিবিএল ফার্মার কারখানাটি আগামী বছরের শেষ নাগাদ ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
প্রায় ১০ একর জমির ওপর এ প্রকল্পে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ইনজেকশন, ইনহেলারসহ প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ইউরোপীয় সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি জিএসকের বন্ধ হয়ে যাওয়া জনপ্রিয় চর্মরোগের বিকল্প ওষুধ একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবার এ দেশের রোগীদের মধ্যে পৌঁছে দিতেই নতুন এই চুক্তি।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ থেকে তার ওষুধ ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে তাদের জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত কিছু ওষুধ আর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
জিএসকে ও ডিবিএলের মধ্যে উৎপাদন সরঞ্জাম হস্তান্তরের এই চুক্তির ফলে গ্ল্যাক্সোর মতো হুবহু একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবিএল ক্রিম-অয়েন্টমেন্ট উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগীদের সরবরাহ করতে পারবে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডিবিএল গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস ইনক বর্তমানে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে মেথোকারবামল গ্রুপের দুটি জেনেরিক ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করছে।
কাশিমপুরের উৎপাদন কারখানাটি সক্রিয় হলে বাংলাদেশে উৎপাদন করে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় ওষুধ রপ্তানি করার বিষয়ে ডিবিএল ফার্মা আশাবাদী। বিজ্ঞপ্তি