সরকারি কর্মচারী

গৃহনির্মাণ ঋণের আবেদন অক্টোবরে

>

 

  • শুধু বেসামরিক সরকারি কর্মচারীরা এই ঋণ পাবেন
  • চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ পাবেন না
  • সর্বোচ্চ ঋণসীমা ৭৫ লাখ ও সর্বনিম্ন ঋণ ২০ লাখ টাকা

পাঁচ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণের জন্য সরকারি কর্মচারীরা আগামী ১ অক্টোবর থেকেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

এর আগে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করবে। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এমওইউ সই হবে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে গতকাল রোববার এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, আপাতত চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঠিক করা হলেও পরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও এই ঋণ বিতরণের বিষয়ে এমওইউ করার চিন্তা রয়েছে সরকারের।

তবে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হলেও তা পাওয়া অত সহজ হবে না বলে আশঙ্কা সরকারি কর্মচারীদের। কারণ, আবেদনপত্রের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন), জাতীয় পরিচয়পত্র, বেতনের সনদ, সত্যায়িত ছবি, স্বাক্ষরসহ অনেক কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর চাকরি আছে—এমন সরকারি চাকরিজীবী বর্তমানে ৭ লাখ। তাঁদের মধ্যে ১০ শতাংশকে ঋণ দেওয়া হলেও বছরে আবেদনকারী দাঁড়াবে ৭০ হাজার জন। গড়ে প্রতিজনের ঋণ ৪০ লাখ টাকা ধরলেও বছরে ঋণের চাহিদা দাঁড়াবে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে সরকারকে বছরে এক হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি দিতে হবে। অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা, ২০১৮’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ জুলাই। পরবর্তী দেড় মাসে তৈরি করা হয় ঋণ আবেদনের অভিন্ন ফরম। ঋণের জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ঠিক করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইতিমধ্যে এ–সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। এমওইউ সই হলেই ঋণ দিতে শুরু করব।’

ব্যক্তিগত জমি
ব্যক্তিগত জমির ওপর বাড়ি তৈরি করতে চাইলে ঋণের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমির মূল মালিকানা দলিল জমা দিতে হবে। শুধু তা–ই নয়, মালিকানা পরম্পরার তথ্যও দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিএস, এসএ, আরএস এবং বিএস রেকর্ডের তথ্য। ব্রিটিশ আমলে ১৯৪০ সালে জরিপের মাধ্যমে যে খতিয়ান তৈরি করা হয়েছিল, সেটি সিএস (কেথেড্রিয়াল সার্ভে)। এ দেশে জেলাভিত্তিক প্রথম নকশা ও ভূমি রেকর্ড করা হয় সিএসে।