কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের প্রায় ৫৫ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চ্যারিটি সংস্থা অক্সফাম বলছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ আশঙ্কা সত্যি হয়ে যাবে। আর এই পরিমাণ মানুষ হচ্ছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ।
অক্সফাম বলছে, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ, অর্থাৎ ২০ শতাংশ আয় কমলে সব মিলিয়ে বিশ্বের ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২৪ কোটি মানুষই পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের। এর পরেই আছে দক্ষিণ এশিয়া। এখানকার প্রায় ১৩ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে দরিদ্র হয়ে যাবে বলে অক্সফামের গবেষণায় বলা হয়েছে।
অক্সফাম অবশ্য তিনভাবে গবেষণাটি করেছে। সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমলে দিনে ১ দশমিক ৯০ ডলার আয় করে, এমন দরিদ্র মানুষের মধ্যে নতুন করে যুক্ত হবে ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াতেই ২২ কোটি ৯৮ লাখ। আবার ৩ দশমিক ২০ ডলার আয় ধরলে নতুন করে দরিদ্র হবে ৬১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় হবে ২৭ কোটি ৯৬ লাখ। আর সাড়ে ৫ ডলার ধরলে সেই সংখ্যা ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার। পরিস্থিতি এ রকম হলে ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। এ সময় থেকে সারা বিশ্ব যে অগ্রগতি করেছিল, তা পুরোই নষ্ট হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ আগেই সাবধান করে দিয়েছিল যে কেবল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা দিতেই আড়াই ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়ন ডলারে এক ট্রিলিয়ন, আর ১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলার লাগবে। জাতিসংঘ আরও মনে করে, বর্তমান সংকটের কারণে পুরো আফ্রিকার অর্ধেক কর্মসংস্থানই হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় সব পক্ষই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে।