ক্রেডিট কার্ডে (আইসিসি) আন্তর্জাতিক লেনদেনে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্ট কারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার কাজে এ কার্ড ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি কার্ডে কী ধরনের লেনদেন হচ্ছে, গ্রাহকদের তারও হিসাব রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে পণ্য ও সেবার বৈধ কেনাকাটার বিপরীতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে ইস্যুকৃত ডলার ব্যবহার করা যাবে। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ে এ ডলার ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়টি কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে গ্রাহকদের অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফরম বা ওটিএএফ পূরণ করে ব্যাংকগুলোতে জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক সেটি যাচাই-বাছাই করে কোনো অসংগতি না পেলে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ডের ওই ডলার ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। ক্রয়কালীন লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিকে তা পরিশোধ করতে হবে।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহকের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই এক হাজার ডলারের বেশি হবে না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিদেশ থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা কেনা যায়।