স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চীন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
১ আগস্ট ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে ১০ ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা। তবে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কয়েকটি চীনা পণ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুল্ক আরোপ করছেন না ট্রাম্প।
পণ্যগুলোর মধ্যে আছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ভিডিও গেমসসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কম্পিউটারের মনিটর, কয়েক ধরনের জুতা ও কাপড়। এসব পণ্যের ওপর আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুল্ক বসবে। বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, বড়দিনের আগে মার্কিন ক্রেতাদের ওপর যাতে কোনো বাড়তি বোঝা না পড়ে, সে জন্যই শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে এই বিলম্ব করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। গতকাল শেয়ারবাজারে প্রযুক্তিপণ্যের শেয়ারের দর বাড়তে দেখা গেছে। ওয়ালস্ট্রিটে প্রধান তিনটি সূচকই একপর্যায়ে প্রায় ২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পায়। তবে লেনদেন শেষে ডাও জোন্স ও এস অ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বাড়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক সূচক বৃদ্ধি পায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য আলোচনার মধ্যেই গত ১ আগস্ট ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় চীন। কয়েক দিন পর মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যায়ন করে চীন। যদিও চীন দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমনটা করেনি তারা। যুক্তরাষ্ট্র দাবি, চীন সরকারের হস্তক্ষেপেই এই দর কমানো হয়েছে।