ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট বাজার ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১৯০-১৯৫ টাকা। এ ছাড়া কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে সোনালিকা (কক) মুরগিরও। গতকাল এ মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।
এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ৭ শতাংশ।
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাবলু হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুরগির দাম আদতে কমেনি। কারণ, এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি। কিন্তু এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাম ছিল ১৮০ টাকা। ওই অর্থে ব্রয়লার মুরগি আগের দামেই ফিরে এসেছে।’
মুরগির পাশাপাশি দেশি ও ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৬৪-৬৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।
রায়েরবাজারে পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা আবদুল ওহাব বলেন, পেঁয়াজের দাম একটু কমতির দিকে। দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা কেজি। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৮ টাকা।
পেঁয়াজ বিক্রির একাধিক আড়তমালিক জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এ কারণে দেশি পেঁয়াজের দামও এখন কমতির দিকে। এ ছাড়া দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়াও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম কিছুটা কমছে।
ধানমন্ডির জাফরাবাদ এলাকার গৃহিণী আসমা খাতুন বলেন, পেঁয়াজের দাম এখনো বাড়তিই আছে। দাম বাড়ারও কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না। বাজারে অন্য সব পণ্যের দাম অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। গতকাল রায়েরবাজার ও কৃষি মার্কেট বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে চলতি মাসের শুরুতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে ২০০ টাকা কেজি হয়েছিল।
১৯ অক্টোবর সয়াবিন তেলের দাম সর্বশেষ লিটারপ্রতি ৭ টাকা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদক সমিতি। গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটারের বোতলের গায়ে খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা লেখা। কোম্পানিভেদে উৎপাদনের তারিখ ২২ কিংবা ২৪ অক্টোবর। কারওয়ান বাজারের মুদিদোকানি ইয়াসিন খান বলেন, বোতলের গায়ের মূল্য ১৬০ টাকা হলেও ব্র্যান্ডভেদে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫০ থেকে ১৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৬ অক্টোবর নদ-নদীতে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। বাজারে ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে। তবে দাম কিছুটা চড়া।
গতকাল কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজারে দেড় কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯০০ এবং এর চেয়ে কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।