নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহকসেবা দিতে করোনার প্রকোপের মধ্যেও সেবা বিস্তৃত করেছে বেসরকরি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় গ্রাহকদের সহায়তা দিতে শুরু করেছে ব্যাংকটি। এ ছাড়া তৈরি পোশাকশিল্পসহ রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতের শ্রমিকের মজুরি প্রদান ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকটি বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে পুনর্গঠন এবং পুনঃঅর্থায়নের প্রস্তাব তৈরি করছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ ছাড়া রিটেইল ও এসএমই গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধ তিন মাসের জন্য স্থগিতের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের তিন মাসের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
>
'করোনার এ সময়ে আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রাহক ও কর্মীদেরস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ জন্য গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে ডিজিটাল ও বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা যাচ্ছে। সমাজও কঠিন সময়ের মুখোমুখি। এমন পরিস্থিতিতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের এক নতুন “স্বাভাবিক” অবস্থারজন্য প্রস্তুত হচ্ছি।'
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, 'করোনার এ সময়ে আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রাহক ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ জন্য গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে ডিজিটাল ও বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা যাচ্ছে। সমাজও কঠিন সময়ের মুখোমুখি। এমন পরিস্থিতিতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের এক নতুন “স্বাভাবিক” অবস্থার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।'
ব্র্যাক ব্যাংক আরও জানিয়েছে, জরুরি ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৫০ শতাংশ শাখা খোলা রাখা হয়েছে। গ্রাহকের মাস্ক পরা এবং প্রবেশদ্বারে থাকা ফুট-ট্রে ও হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে তারা। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব শাখায় গ্রাহকের জন্য নির্ধারিত আসন ও দাঁড়ানোর স্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
এ দুর্যোগে মোকাবিলায় ব্র্যাক ব্যাংক তার সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এরই মধ্যে ৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এ ছাড়া আইসিইউতে ব্যবহার উপযোগী ৬ হাজার সেট ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিয়েছে একটি সরকারি হাসপাতালে। পাশাপাশি ব্যাংকের পরিচালনকর্মীরা তাঁদের দুই দিনের ও বাকিরা এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্র্যাক ব্যাংকের খাদ্যসংকট মোকাবিলা তহবিলে জমা দিয়েছে।