করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও সীমিত আকারে চালু রয়েছে ব্যাংকিং সেবা। এই সময়ে ব্যাংকাররা সশরীরে ১০ দিন অফিস করলে পুরো মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ভাতা পাচ্ছেন। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সেই ঘোষিত ভাতার কার্যকারিতা ২৮ মের পর বাতিল করা হয়েছে। তবে এরপর বন্ধের মধ্যে অফিস করার জন্য যাতায়াত ভাতা পাবেন ব্যাংকাররা। আজ রোববার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক কমর্কতারা বলছেন, ব্যাংকের প্রায় সব ধরনের সেবা চালু হয়ে গেছে। ফলে বেশির ভাগ কমর্কতাকে অফিস করতে হচ্ছে। এভাবে প্রণোদনা ভাতা চালু থাকলে ব্যাংকের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আবার সরকারি ব্যাংকের অনেক কমর্কতা ভাতার কারণে প্রয়োজন ছাড়া অফিস করছেন। এসব কারণেই দুই মাস দেওয়ার পর এ ভাতা সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণের ফলে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিলে ব্যাংকাররা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর ১২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে সশরীরে ব্যাংকে আসা কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনা বোনাসের আওতায় মূল বেসিকের সমপরিমাণ এবং যাঁদের বেসিক নির্ধারণ করা নেই, তাঁরা সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা বোনাস নিতে পারবেন। এই প্রজ্ঞাপনের পর ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।
এদিকে সাধারণ ছুটি থাকলেও লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সেবার আওতা ও সময় বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনার কারণে ঘোষিত বোনাসের মেয়াদ ২৮ মে পর্যন্ত থাকবে। ২৯ মার্চ থেকে ২৮ মে এই দুই মাস বোনাস পাবেন কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করার মাধ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার আবশ্যকতা রয়েছে। সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রত্যাহার করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই ২৮ মের পর প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন নেই। তবে ২৯ মে থেকে সাধারণ ছুটির মধ্যে কেউ অফিস করলে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে যাতায়াত ভাতা প্রাপ্য হবেন।